বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন

বিজিএমইএ’র মুচলেকা সংশোধন করে দাখিলের নির্দেশ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪২ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বুধবার,২৮ মার্চ ২০১৮: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে কর্তৃপক্ষের দেয়া মুচলেকা সংশোধন করে তা পুনরায় দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

শুনানিতে আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুচলেকা দিয়েছেন।’ তখন আদালত বলেন, ‘তাহলে বোর্ড অব ডিরেক্টররা আর সময় চাইবে না তো?’

জবাবে কামরুল হক বলেন, ‘আর সময় চাইবো না।’

তখন আদালত বলেন, ‘যখন ছয় মাস পরে ডিরেক্টর পরিবর্তন হবে তখন নতুন ডিরেক্টর এসে সময় চাইলে কী করবেন?’

এরপর আদালত বিজিএমইএ’র শেষ সময় চাওয়ার শর্ত সংক্রান্ত মুচলেকাটি পুনরায় সংশোধন করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালত বলেন, ‘মুচলেকার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর আদালতের আদেশ পালন না করা হলে এজন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সবাই জন্য দায়ী থাকবেন। একইসঙ্গে ভবন ভাঙতে রাজউককে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন।’

এর আগে শেষবারের মতো এক বছরের সময় চেয়ে লিখিত মুচলেকা দেন বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পরিষদ। লিখিত মুচলেকায় বলা হয়, এর পর আমরা আর সময় চাইব না।

আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মঞ্জিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে মঙ্গলবার আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজিএমইএর আইনজীবীকে বলেন, ভবন কতদিনের মধ্যে ভাঙবেন, সে বিষয়ে মুচলেকা দিতে হবে। অন্যথায় কোনো সময় আবেদন গ্রহণ করা হবে না। বারবার সময় আবেদন করেন। এতে আমাদেরই লজ্জা লাগে। পরে আদালত বলেন, সময় আবেদনের বিষয়ে মুচলেকা দেয়ার পরেই আদেশ দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত ৫ মার্চ বহুতল ভবনটি ভাঙতে আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে পোশাক রফতানিকারকদের এ সংগঠনকে আরও সাত মাস সময় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। সে হিসাবে ১১ এপ্রিল আদালতের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হচ্ছে। রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর গত বছরের মার্চে বিজিএমইএর আবেদনে আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দিয়েছিল, যা শেষ হয় ১২ সেপ্টেম্বর। এর পর থেকেই নতুন করে সাত মাস গণনা শুরু হয়। জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলেছিলেন হাইকোর্ট।

ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।ভবন ভাঙার ব্যাপারে সুনিদিষ্ট সময়ের মুচলেকা পুনরায় সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য বিজিএমইএকে নিদের্শ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে ফের আদেশ হবে আগামী সোমবার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *