বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল ও গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে টাস্কফোর্সকে পূণঃ গঠন ও আগষ্ঠ জরিমানা মওকুপের দাবি

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৫৬ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চট্টগ্রাম : করোনা মহামারী কালে গড় বিল, জুনের রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পুরণের নামে ভুতুড়ে বিল নিয়ে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি ও ৩০ জুনের মধ্যে মার্চ-জুনের বিল পরিশোধে বারবার মাইকিং, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন, টেলিভিশনে সতর্ক বার্তা প্রদান করে প্রবল আপত্তির মুখে বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তদন্তে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে দিয়ে। ফলে এই টাস্ক ফোর্স অনেকটাই শাক-দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। কারন যারা গড় বিল করার জন্য নির্দেশ দিয়ে তারাই আবার টাস্ক র্ফোর্সের সদস্য। তাই টাস্ক ফোর্সকে পূনঃগঠন করে সেখানে ভোক্তাদের প্রতিনিধি হিসাবে ক্যাব প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করার দাবি ও জুন পর্যন্ত বকেয়া বিলের জরিমানা আগামি আগষ্ঠ পর্যন্ত স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। ২ জলাই ২০২০ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন করোনার মহামারীতে অধিকাংশ সাধারন গ্রাহক আয় রোজগার কমে যাওয়া, অনেকে চাকুরী হারিয়ে বা বেতন কর্তনের মতো দুর্দশায় জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে কঠিন সময় পার করছেন, সে সময়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উদ্ভট সিদ্ধান্ত গড় বিল ও ৩/৪গুন অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য বিদ্যুৎ বিল আর একটি “মরার উপর খারার ঘা” হিসাবে আর্বিভুত হয়েছে। আবার ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো ঘোষনা শুধু অমানবিক নয়, মহামারী কালে সাধারণ মানুষের উপর রাস্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অগ্রহনযোগ্য।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিদ্যুত, গ্যাস, ওয়াসার বিরুদ্ধে গড় বিল করা, ত্রুটিপূর্ণ মিটার সরবরাহ করার মতো অভিযোগ সব সময় বিদ্যমান। সেখানে ভুতড়ে বিল ও গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন অনেকটাই “আমরা- আমরাই-মিলে মিশে করি”, এটাকেও হার মানায়। তৃতীয় কোন পক্ষকে দিয়ে এই টাস্ক র্ফোস করা যেতো। প্রয়োজনে স্থানীয় জেলা, উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ক্যাব ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি দিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে তথ্য অনুসন্ধান করা হলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসতো। এখন এই টাস্কফোর্স কোন অনিয়ম পাবে না এবং গ্রাহকের ভুতুড়ে বিলের কোন সুরাহা হবে না। আর গ্রাহকের বাড়ী পরিদর্শন ও মিটার যাচাই ছাড়া এই সমস্যা সমাধানে গণশুণাণীর মতো অফিসে বসে কোন সমাধান কাংখতি ফল আসবে না।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন সরকারের ভেতরে একটি মহল সব সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে যে অভুত পুর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে তাকে ম্লান করার জন্য নানা রকমের নীল নকসা করার চেষ্টা করেন। মহামারী কঠিন সংকট কালে গড় বিল, ভুতড়ে বিল, জুনের টার্গেট প্রদান করে রাজস্ব আহরনের ঘটনাগুলি তারই অংশ কিনা তা ঘতিয়ে দেখা দরকার। কারন করোনার মহামারী কালে সরকার প্রধান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনে ২০ ঘন্টা পরিশ্রম করে সাধারণ জনগনের দুর্ভোগ লাগবে করছেন। আর সেখানে সরকারের একশ্রেণীর কর্মকর্তারা নানা ফর্মূলা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়াতে নানা ফন্দি ফিকির করছেন, যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। বিষয়গুলি তৃতীয় কোন পক্ষকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *