শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে মুক্তিযোদ্ধার ঘরে প্রবেশ করে বিনা অনুমতিতে ক্যামেরা ধরে ভয়ভীতি দেখানোসহ অর্থ আদায়ের চেষ্টার ঘটনায় জড়িত সাংবাদিক ও আইনজীবী আক্কাস সিকদার এবং কেএম সবুজসহ তাদের সহযোগীর বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের কোর্ট রোডস্থ একটি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার নেহালপুর নিবাসী নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী ও তার পরিবার দুই সাংবাদিকের শাস্তির দাবি করেছেন।
এরআগে গত ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর একই ধরনের অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আবেদন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী বলেন, বিবাদী ঝালকাঠির পশ্চিম চাঁদকাঠী এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মো. আক্কাস সিকদার, নলছিটি শিতলপাড়া এলাকার আমজেদ আলী খানের পুত্র মো. সবুর খান ওরফে কে.এম. সবুজ এবং সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের বাবুল মিরার পুত্র আসলাম মিরা গত ১৯ ডিসেম্বর দুপুর হঠাৎ তার বসতঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে। িিন বলেন, আক্কাস-সবুজ স্থানীয় আসলাম মিরার কাছ থেকে টাকা খেয়ে তাকে হয়রানি ও হেয়প্রতিপন্ন করতে সম্মুখে ক্যামেরা ধরে। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করতে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করে। তাছাড়া সাংবাদিক আক্কাস সিকদার ও কেএম সবুজ বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধার কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিবাদী আসলাম মিরার ইন্ধনে আইনজীবী ও সাংবাদিক আক্কাস সিকদার এবং কেএম সবুজ তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে কালিমা লেপন করতে তার বিরুদ্ধে মানহানীকর সংবাদ পরিবেশন করে।
একজন মুক্তিযোদ্ধা চাঁদা দেওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করেনি উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং তাকে হয়রানির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য যে, সাংবাদিক আক্কাস সিকদারের নামে বিস্ফোরক-হত্যার মামলা বিচারাধীনসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার সহযোগী মোঃ সবুজ খান ওরফে কে.এম. সবুজ তার মামীর (বিধবা) ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা ও অপর সহযোগী আসলাম মিরার নামে তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলা বিচারাধীন আছে বলে জানাগেছে।