শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

উচ্চ স্বরের গানের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে হত্যা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৯ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শুক্রবার,১৯ জানুয়ারী ২০১৮: রাজধানীতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধের জন্য অনুরোধ এবং প্রতিবাদ করায় নাজমুল হক (৬০) নামে এক রোগীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ওয়ারী থানার ৪৪ আরকে মিশন রোডে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ভবনের ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন এবং বর হৃদয়সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

৪৪ আরকে মিশন রোডের ওই ভবনের ৮ তলায় তাদের বাসা। ভবনের ১১তলায় কমিউনিটি হল রয়েছে। ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেনের এক আত্মীয় হৃদয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে কমিউনিটি হলে উচ্চশব্দে বাদ্যযন্ত্র ও গান বাজানো হচ্ছিল।

নিহতের মেয়ে নাফিসা হক বলেন, ‘আমার বাবা হার্ট ও কিডনির রোগী। ২০০৫ সালে তার বাইপাস অপারেশন করানো হয়। গান-বাজনার তীব্র আওয়াজে তার সমস্যা হচ্ছিল। এ কারণে রাতেই আমরা বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারের মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে বাদ্যযন্ত্র একটু কম শব্দে বাজানোর অনুরোধ জানাই। এতে আলতাফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বিয়ে বাড়ির লোকজন এসে বাড়ির নিচে মারধর করে আমার ছোট ভাই (নাজমুল হকের ছেলে) নিবিড়কে। এসময় তাকে উদ্ধার করতে আমি এবং বাবা ও ভাবি এগিয়ে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে। তাদের টানাহেঁচড়ার এক পর্যায়ে বাবা (নাজমুল হক) ফ্লোরে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহতের ছেলে নিবিড় বলেন, ‘যার বিয়ে সেই হৃদয় আমাকে কলার ধরে টেনে নিয়ে মারধর করেছে। সে আমার বোন ও স্ত্রীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে।’

এদিকে ওয়ারী থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিয়ে বাড়ির বরসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং ঘটনার সূত্রপাত বিবেচনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিএমপি’র ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সোহেল রানা বলেন, ‘ভিকটিমের ছেলেমেয়ে বলেছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করেছে। আর সিসি টিভি ফুটেজ দেখেও আমাদের তাই মনে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে কতটুকু কী ক্ষতি হয়েছে, তা পোস্টমোর্টেম ছাড়া বলা যাচ্ছে না। লাশ পোস্টমোর্টেমের জন্য মিডফোর্টে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য অভিযুক্তদেরও খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *