শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও এলাকা লকডাউন করেছে চাঁদপুর প্রশাসন

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৫ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : চাঁদপুর পৌর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়ি চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যক্রমে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি লাল নিশান উড়িয়ে লকডাউন করে দেওয়া হয়। সেই সাথে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, মৌসুমি ফলসহ ওষুধ সামগ্রী।

১৫ জুন (সোমবার) দিনব্যাপি একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং রিক্সা চালকদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের সতর্ক করেন এবং তাদেরকে মাক্স প্রদান করেন। একাধিকবার ব্যবহার করা যায় মানসম্মত ২০০টি মাস্ক চালকদের মাঝে বিতরণ করেন। চাঁদপুর শহরের ১২নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোড মুন্সিবাড়ির ৬২ বছর বয়সী এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই ঘরটি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই ঘরের অন্যান্য সদস্যদের কে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ দেন তিনি । এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রোগীর জন্য নানান প্রকারের মৌসুমী ফল দেওয়া হয়।

অপরদিকে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের গুনরাজদী মহরম আব্দুর রশিদ পাটোয়ারি ডিবিসি সড়কটি দুই প্রান্ত বন্ধ করে দিয়ে লাল নিশানা উড়িয়ে ওই এলাকাটি পুরাপুরি লকডাউন করে দেওয়া হয়। চাঁদপুর শহরের সর্বাধিক করোনা রোগী এই এলাকায় শনাক্ত হয় বলে জানা যায়।এই এলাকায় সংক্রমিত দুটি পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রকার ফল দেওয়া হয়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, গতকাল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়, সে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, জেলায় যে সকল বাড়ি বা বহুতল ভবনে করোনা রোগীর শনাক্ত হবে, শুধু ওই বাড়ি বা ওই ভবনটি ললকডাউন করে দেওয়া হবে। আর যে সকল এলাকাতে একাধিক করানো রোগী শনাক্ত হবে ওই এলাকা ললকডাউন করে দেয়া হবে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও আজ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আরো ৫ জন করোনা পজিটিভ রোগীর বাসায় উপহার বিতরণ করা হয় ও তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়। এদিকে একজন করোনা পজিটিভ রোগী আইন অমান্য করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করায় তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা এবং তার দোকানটি লকডাউন করে দেওয়া হয়। একজন সেলুন কর্মীকে নিরাপত্তা সামগ্রি ব্যতীত সেলুনে কাজ করা ও বিকেল ৪টার পরেও সেলুন খোলা রাখার অপরাধে ১০০০টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার না করায় বিভিন্ন জনকে আরো ২২০০/ টাকা জরিমানা করা হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইমরান মাহমুদ ডালিম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবকের প্রধান ওমর ফারুক, আনসার বাহিনী ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *