বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
মরণব্যাধী দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকা করোনা ভাইরাসকে গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির স্থানীয় সময়ে এক সংভাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস। তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্য সেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে’।
চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু করেলেও এক সপ্তাহ আগেও গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানায় ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, এই ভাইরাসে চীনের হাজারো মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানুষের শরীর থেকে অপর জন আক্রান্ত হওয়ার স্পষ্ট নজির দেখা গেছে।
সংস্থাটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ভাইরাস সংশ্লিষ্ট কারণে মারা যাওয়া প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে হুবেই প্রদেশের বাইরে। ফলে আগের সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বৃহস্পতিবার গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণার কারণ হিসেবে ডব্লিউএইচও প্রধান অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস বলেন, মূলত চীনে যা ঘটছে সে কারণে নয় বরং অন্য দেশে যা ঘটছে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার জন। গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করলেও ভাইরাস মোকাবিলায় চীনের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশংসা করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’ আইনগতভাবে বাধ্য কোনও ঘোষণা নয়। তবে একে জনস্বাস্থ্য সংকটের আন্তর্জাতিক উদ্বেগ হিসেবে দেখা হয়। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে,পরিস্থিতিকে মারাত্মক হিসেবে বিবেচনা করছে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ পরামর্শক সংস্থাটি।