বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৯ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শনিবার,৩০ ডিসেম্বর ২০১৭: কুষ্টিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। ক্ষেতের পাশাপাশি অনেকেই বাড়ির আঙিনায় শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫০ মেট্রিকটন সবজি উৎপাদন হয়েছে।

জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এবার ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, টমেটো, মুলা, লাউ, শিম, পালং শাক, লালশাকসহ নানা ধরনের সবজি চাষ হয়েছে। এসব সবজির ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ব্যাপক লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৬৭৫ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯২০ হেক্টর। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৭২০ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর, কুমারখালী উপজেলায় ৫২০ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ৫৭৭ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় ৭২০ হেক্টর এবং দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৩৬ হেক্টর শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে।

তবে মৌসুম শেষের আগে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের আশা করছে কৃষি বিভাগ। জানা যায়, এবার কুষ্টিয়ায় শীতকালীন সবজির মধ্যে টমেটো ২৭১ হেক্টর, বাধাকপি ৫৫৫ হেক্টর, ফুলকপি ৫৮৩ হেক্টর, বেগুন ১ হাজার ১৯৫ হেক্টর, শিম ৬০৭ হেক্টর, মুলা ৭৩১ হেক্টর, পালংশাক ৪৫১ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ২৬০ হেক্টর, বরবটি ৫২ হেক্টর, করল্লা ২৭০ হেক্টর, শসা ৫০ হেক্টর, ডাটা শাক ২৯৯ হেক্টর, লাল শাক ৫৩৬ হেক্টর, লাউ ৩৮৮ হেক্টর, গাজর ৩৭ হেক্টর এবং ওলকপি ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সবজি চাষি বাবলু জানান, এ বছরচার বিঘা জমিতে বেগুন ও লাউ, তিন বিঘায় বাঁধাকপি ও ফুলকপি,১০ কাঠা করে জমিতে শিম,আগুড় লাউ, টমেটো, মুলা, এক বিঘায় পালং শাক, ১৫ কাঠায় মটর শাক, পাঁচ কাঠা জমিতে ধনেপাতা এবং দুই হাজার কলার চাষ করেছেন। কীটনাশক প্রয়োগ না করায় উৎপাদিত এসব সবজির চাহিদাও রয়েছে বেশ। দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর গ্রামের সবজি চাষি আরিফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে বেশি লাভবান হাওয়া যায়। তাই অন্য ফসল ছেড়ে সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছি।

এ বছর প্রায় ১৫ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি হয়েছে ভালো। কুমারখালী উপজেলার সবজি চাষি মামুন জানান, এবার প্রায় দুই বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করেছি। এখন বাজারে সবজির দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাজারে সার, বীজ, পরিবহন খরচ অনেক বেশি। যদি এসব জিনিসের দাম কম থাকতো, তাহলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হতেন।

জেলা কৃষি বিপণন অধিদফতরের বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত সবজির দাম রয়েছে। তাতে বলা যায়, কৃষক সবজি চাষ করে এখন পর্যন্ত লাভজনক অবস্থায় রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, সবজি চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও তদারকি করায় ফলন ভালো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *