বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রথম বৈঠকে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৭ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার,০৮ জুলাই ২০১৮:
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষিদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে তার দপ্তরে প্রায় দেড় ঘণ্টা এই বৈঠক চলে।

কমিটির প্রথম বৈঠকে কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি কোটার বিষয়ে দেশি-বিদেশি তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণারয়ের যুগ্ম-সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বেঁধে দেওয়া ১৫ দিন সময়ের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ লক্ষ্যে আগামী সাতদিনের মধ্যে কোটা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন তারা।

এ কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), অর্থ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আবুল কাশেম বলেন, মিটিংয়ে মূলত কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোটা সংক্রান্ত দেশে-বিদেশে যত তথ্য রয়েছে বা বিভিন্ন সময় গঠিত কমিশন বা কমিটির যেসব রিপোর্ট রয়েছে তা যত দ্রুত সম্ভব সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সাত দিনের মধ্যে সেসব প্রতিবেদন সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেসব রিপোর্ট, প্রতিবেদন বা তথ্য পাওয়ার পর দ্বিতীয় বৈঠকে বসবে কমিটি। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদন, বিভিন্ন সময় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের কমিশন বা তাদের ব্যক্তিগত রিপোর্টও রয়েছে। যত দ্রুত পারি সেগুলো সংগ্রহ করব। আমরা এটা নিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করতে চাচ্ছি। এটা আসলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চেষ্টা করছি সংগ্রহ করার। এগুলো সংগ্রহের ওপর পরবর্তী সভা নির্ভর করবে।

এর আগে গত সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ছয়জন সচিবকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত এপ্রিলে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সারারাত সংঘর্ষ হয় পুলিশের।

এছাড়াও সম্প্রতি ফের আন্দোলনে নামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হয়েছেন কোটা সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র কর্মীরা। হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন আন্দোলনকারীরা। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ১০ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *