মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
ডাঃ ইসমত কবীর, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, যুক্তরাজ্য : সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে কোভিড১৯ এর বিরুদ্ধে কাজ করে এমন ১৫৯টি টীকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণার কাজ চলছে।
এর মধ্যে সাতটা প্রথম পর্বের আর আর পাঁচটা দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এ ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অন্তত দশটি ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এ ভ্যাক্সিনগুলোর পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে আছে নির্জীব ভাইরাস বা জীবন্ত অকার্যকর (Live attenuated) ভাইরাস এর মতো পুরানো প্রযুক্তি। আছে ন্যানোপার্টিকল, ভেকটর ভাইরাস বা ম্যাসেঞ্জার আরএনএ, ডিএনএ এর মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সাড়া জাগিয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সারা গিলবার্ট এর ChAdOx1 ভ্যাক্সিনটা। কিন্ত বৃটিশ ডেইলি টেলিগ্রাফসহ কিছু গণমাধ্যমে খবর বেড়িয়েছে বানরের উপর পরীক্ষায় টীকাটির ব্যাপারে আশানুরূপ ফল মেলেনি। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও ভাইরাস থেকে এ টীকা বানরকে মুক্ত করতে পারেনি। রক্তে কাংখিত পরিমানে এন্টিবডিও নাকি তৈরি হয়নি।গবেষণাটির ফল প্রকাশিত হলে বোঝা যাবে প্রকৃত ব্যাপারটা কী। তবে গবেষণা যে হোঁচট খেয়েছে তা অনুমান করা যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে মডারনার ম্যাসেঞ্জার আরএনএ (mRNA 1273) ভ্যাক্সিনটার গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে।
বহুজাতিক ওষুধ প্রতিষ্ঠান ফাইজার আর জার্মানির বিএনটেক (BNTECH) মিলে চারটি ভিন্ন টীকা (BNT162) গবেষণায় বেশ এগিয়ে গেছে। ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর টীকা প্রয়োগ করা হয়েছে প্রথম পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এর অংশ হিসেবে।
দাবী করা হচ্ছে, চীনের অগ্রগতি এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী। সিনোভ্যাক বায়োটেক এর টীকা তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে চলে এসেছে। টীকা তৈরিতে সিনোভ্যাক পুরানো প্রযুক্তির নিষ্ক্রিয় সার্স কোভি ২ ভাইরাস ব্যবহার করেছে।
টীকা তৈরির এ দৌড়ে দেখা যাক কে বিজয়ী হয় আর কপালে ভাস্বর হয় জয়টীকা।
লেখক : জেরিয়াট্রিক ও জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রেজিস্ট্রার, কুইন এলিজাবেথ দা কুইন মাদার হসপিটাল, মারগেট, কেন্ট, যুক্তরাজ্য।