বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

জানুয়ারিতে ফোরজি লাইসেন্স

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৫৪ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭: দীর্ঘ দেন-দরবারের পর অপারেটরদের ব্যবসায় বান্ধব নীতিমালা নিয়ে জানুয়ারিতে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের (ফোরজি) লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কয়েক দিনের মধ্যেই কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্সের আবেদনের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে।

জানা গেছে, ফোরজির সর্বশেষ সংশোধিত নীতিমালায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর এখন দাফতরিক কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ করছে বিটিআরসি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফোরজি নিলামের বিজ্ঞাপন গণমাধ্যমে দেয়া হবে। সেই বিজ্ঞাপনে অপারেটরগুলোকে আবেদন সংগ্রহ এবং জমা দিতে ১০ দিন সময় দেয়া হবে। আবেদন জমা দেয়ার পর ৪৫দিন পর হবে তরঙ্গ নিলাম। আর সর্বশেষ সংশোধিত নীতিমালায় তরঙ্গ নিরপেক্ষতা ফি প্রতি মেগাহার্জে ৪০ লাখ ডলার রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার ফোরজি নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এটি হাতে পাওয়ার পর তখন অপারেটরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩টি আপত্তি দেয়। ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব আপত্তির অধিকাংশই সমাধান করে দেন। এরপর বিটিআরসি অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার মূল্য নির্ধারণ করে সংশোধিত নীতিমালাটি ৮ নভেম্বর টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয়বার এই ফোরজি নীতিমালায় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন।

এতে ফোরজির ন্যূনতম গতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ২০ এমবিপিএস, যেখানে মহাসড়কে চলাচলকালে ও ট্রেনে ভ্রমণের সময় শুধু ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন হতে পারবে। এই নীতিমালা অনুযায়ী ২১০০ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ এবং ৯০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলাম হবে। এর মধ্যে ২১০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জের নিলামের ফ্লোর মূল্য হবে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর ১৮০০ ও ৯০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জের স্পেকট্রামের নিলামের ভিত্তি মূল্য হবে ৩ কোটি ডলার।

এছাড়া নীতিমালায় অপারেটগুলোর যেসব আপত্তি প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা যেভাবে সমাধান করে দিয়েছিলেন সেগুলো সেভাবেই রাখা হয়েছে। অপারেটরগুলোর ওইসব আপত্তির মধ্যে অন্যতম ছিল গ্রাহক ডেটা ১২ বছর সংরক্ষণ করা, দেশী ব্যাংক হতে ঋণ নেয়া বা স্থানীয় বিনিয়োগের সুযোগ না রাখা, ফোরজি ডেটার গতি ও গ্রাহকের অব্যবহৃত অর্থ ফেরত দেয়া, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল খরচের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমতি নেয়া ও সময় সময় সরকারের রাজস্ব ভাগাভাগির অংশে পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *