বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন কাতারি আমির

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৮ পাঠক
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭: কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি কুয়েতে অনুষ্ঠেয় গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল রহিম আল থানি রোববার বলেছেন, কুয়েত সিটিতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন আমির।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের বিরুদ্ধে চার আরব দেশের অবরোধ আরোপের প্রায় ছয় মাস পর তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে যাচ্ছে কাতার। তবে এর আগে বাহরাইনের নেতা হুমকি দিয়েছিলেন, কাতার যোগ দিলে সম্মেলনে অংশ নেবেন না তিনি।

কাতারের রাজধানী দোহায় একটি ফোরামে দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে শেখ মোহাম্মদ বলেছেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেব আমি এবং শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন আমির।’ তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, জিসিসি ব্যবস্থা সচল আছে।’

গত সপ্তাহে জিসিসির ছয় সদস্য রাষ্ট্রের সবাইকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে কুয়েত। তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়, অন্য সব নেতা এবারের সম্মেলনে যোগ দেবে কি না।

আবর উপদ্বীপের তেলসমৃদ্ধ ছয় দেশ বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট জিসিসি। জ্বালানি তেল ও তরলিকৃত গ্যাসের ব্যাপক মজুত রয়েছে এসব দেশে।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর একত্রে সন্ত্রাসে উসকানি ও সমর্থন এবং ইরানকে অবৈধভাবে সাহায্য করার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। তবে শুরু থেকে এই অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে কুয়েত। কুয়েতি আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহ সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়েছেন। অক্টোবর মাসে তিনি হুঁশিয়ার করেছিলেন, এই সংকট জিইয়ে থাকলে জিসিসির রাজনীতি ধসে পড়তে পারে।

শেখ সাবাহ আরো বলেছিলেন, ‘এই অবস্থা আরো চড়াও হলে তাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যাতে করে উপসাগরীয় অঞ্চল ও এর জনগণের নিরাপত্তা ভূলুণ্ঠিত হবে।’

অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বাহরাইনের বাদশা হুমকি দিয়েছিলেন, দোহা যদি তাদের অবস্থান শুধরে না নেয়, তাহলে জিসিসি সম্মেলনে কাতারের সঙ্গে একই মঞ্চে বসবে না তিনি।

‘জিসিসির দুই ভাগ হওয়ার আশঙ্কা’

দোহা ইনস্টিটিউটের নীতি বিশ্লেষণবিষয়ক পরিচালক মারওয়ান কাবালান মনে করেন, জিসিসির ধসের আশঙ্কা বাস্তব। তিনি বলেছেন, ‘কুয়েতি আমির খুব ভালোভাবেই জানেন, যদি সংকট দীর্ঘকালীন হয়, তাহলে শিগগিরই জিসিসির মধ্যে দুটি বলয় দেখা যাবে। একটি বলয়ের থাকবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। আরেকটি বলয়ে থাকবে কাতার, ওমান এবং সম্ভবত কুয়েত।’ তিনি বলেন, ‘ফলে তখন আমরা একটির বদলে দুটি জিসিসি পাব।’

কাতারের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় চার দেশ যেসব অভিযোগ এনেছে, তা প্রত্যাখ্যান করে তারা-ই আবার পাল্টা অভিযোগ করেছে, ওইসব দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করতে চাইছে। কাতারের রাজক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন আবরোধকারী দেশগুলো।

কাবালান বলেছেন, বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো কাতারকে তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত মেনে নেওয়ানোর জন্য অটল রয়েছে। তবে কিছু বিষয় আছে, কাতার যা কখনো করবে না।

কাবালান আরো বলেছেন, ‘কাতারের আমির ও দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক কর্মকর্তারা অনেকবার পরিষ্কার করেছেন, তারা কখনো সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করবেন না। তারা সমঝোতা চান। প্রকৃতপক্ষেই সংকট সমাধানের জন্য সব পক্ষের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা চান তারা।’

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *