বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেল কৃষকের স্বপ্ন!

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৫ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঝিনাইদহ : মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে এমনিতেই বিপাকে কৃষকরা। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে দুই-আড়াই ঘণ্টা বৃস্টির পানিতে ডুবে গেছে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলা সহ মহেশপুর উপজেলার কয়েকশ একর বোরো ধান। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ধানের সঙ্গে কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন। বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যাওয়া মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, মহেশপুর উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে। তেমনি ভাবে ফলনও ভালো হয়েছে। বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে কৃষকের তিনগুণ পরিশ্রম হচ্ছে। তারপরও সোনালী ফসল ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে মাঠে কেটে রাখা ধান তলিয়ে গেছে। যার ফলে ভেজা ধান ঘরে তোলা ও ধান মাড়াই করে শুকাতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কষ্টে উৎপাদিত শত শত একর জমির ধান।

মহেশপুর উপজেলার নেপা গ্রামের কৃষক মোসলেম হোসেন, মিজানুর রহমান, ভৈরবা গ্রামের কৃষক আবদুল হাই ও পৌর এলাকার বগা গ্রামের কৃষক ইসানুর ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তারা সবাই দুই থেকে তিন বিঘা করে জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সব ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখন ধান বাঁচানোর জন্য বিচালি (খড়) রেখেই ধান তুলতে হচ্ছে। তারা জানান, এমনিতেই বাজারে ধানের দাম কম তারপর বিচালি বাবদ বিঘা প্রতি ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান হবে। এ অবস্থায় সঠিক সময়ে ধান শুকিয়ে ঘরে না তুলতে পারলে ওই ধান গবাদি পশুকে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসবে না।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। প্রাকৃতিক সমস্যায় আমাদের কারও কিছুই করার নেই। বৃষ্টিতে যে সমস্ত বোরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে সে সমস্ত ক্ষেতের আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব বিচালি রেখেই ধান তুলতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *