শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
ইমু চৌধুরী : ৯ মে ২০২০ রাত ১১:৫৮ মিনিটে আমার বাংলালিংক নাম্বারটিতে ৪৫ টাকা রিচার্জ করলাম মোবাইল ব্যাংকিং এর সহায়তায়। মূলত ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য এই রিচার্জ অফারটি। এই ধরণের অফারে সাধারণত রিচার্জ পরবর্তী তে ইন্টারনেট মেগাবাইট অপশনে যোগ হয় এই টাকা। কিন্তু এমনটা এক্ষেত্রে হলো না৷ রিচার্জ বার্তার এর সাথে সাথেই আরেকটি বার্তা এলো ধার নেয়া ২৯ টাকা কেটে নিয়েছে। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু বিপত্তি হলো (৪৫-২৯=১৬) অর্থাৎ ১৬ টাকা অবশিষ্ট থাকার কথা। কিন্তু তা আমার একাউন্টে ছিল না, এর কোনো কারণও তারা দেখায়নি!
যাই হোক ভুল হতেই পারে, তাই ১০ মে ২০২০ ভোর ৪:২৮ মিনিটে এসে আবারও মোবাইল ব্যাংকিং এর সহায়তায় ৮ টাকা রিচার্জ করলাম। দুঃখের ও আশ্চর্যের ঘটনা হলো এই টাকাও কেটে নিল, সাথে অপারেটর এর দাবী আরো ৬ টাকা পাবে! আরেকদফা আশ্চর্য হয়ে ৪:২৯ মিনিটে ২৯ টাকা রিচার্জ করার পর কেটে নিল ৬ টাকা। যাই হোক এবার অফিসে ফোন দিয়ে এক ভদ্রমহিলার সাক্ষাৎ পেলাম। তাকে বিস্তারিত বলার পর, তিনি যোগফল বের করলেন ৮২ টাকা যার থেকে ৫৩ টাকা অবশিষ্ট থাকার কথা। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো তিনি বলছেন ২০ টাকা তো অবশিষ্ট আছে! কথার ভঙ্গিটা এমন, যেন এটাই আমার সৌভাগ্য! অতঃপর ভদ্রতার সহিত মেজাজ কে নিয়ন্ত্রণে রেখেই কিছু প্রতিউত্তর দিলাম। পরবর্তী তে আমার উক্ত গঠনা তাদের অভিযোগ এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো যার সিরিয়াল দেয়া হয়েছে ৩৭৩০৫৪।
যাই হোক এর ভিতরেও সমস্যার সমাধান হলেও কথা ছিন না। কিন্তু আমার লেখাটি লেখাকালীন সময়ের ভিতরে সমাধান ব্যতীতই একটি ফোন কল আসল, অতঃপর পুরাতন লেবু নতুন করে কচলে নেওয়ার ঘটনা ঘটল। আবার সকল কথার পুনরাবৃত্তি করার পর আশ্বাস মিলল সমাধান হবে বলে, তবে সমাধান কি হবে তা অবশ্যই আমার অজানা এখনও।
এখানে সমস্যা টা টাকার নয়, বিপত্তিটা হলো হয়রানির। এটা এক ধরনের বিড়ম্বনা সৃষ্টির কারণ। যার ফলে আস্থার জায়গা নষ্ট হয়। আমি জানি, এই মত প্রকাশে উক্ত অপারেটর এর কিছু হবেনা, অথবা আমার লেখাটিও তাদের ক্ষতি সাধনের লক্ষে নয়৷ মূলত আমি চাই এই ধরণের হয়রানি থেকে মানুষ রক্ষা পাক।