শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন

দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত ভয়াল ১৫ নভেম্বর আজ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ২৯ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: আজ সেই দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত ভয়াল ১৫ নভেম্বর। ২০০৭ সালের এ রাতে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকা লন্ড-ভণ্ড হয়।

প্রলয়ঙ্করী এই ঘূর্ণিঝড়ে মুহূর্তের মধ্যেই উপকূলীয় জনপথগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, মাঠ-ঘাট এমনকি গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিল শত শত মানুষের লাশ। দুর্যোগের সেদিনে গৃহহীন হয় লাখ লাখ মানুষ।

এদিন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। নিম্নচাপটি কয়েক বার গতি পরিবর্তন করে মধ্যরাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে।

দশটি বছর পেরিয়ে গেলেও সেই স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সহায়সম্বল ও স্বজন হারানো মানুষগুলো ফিরে যেতে পারেননি তাদের স্বাভাবিক জীবনে। এখনও খোলা আকাশের নিচে বাস করছে সেদিনের মহা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ। এখনও সংস্কার হয়নি বিধ্বস্ত অনেক সড়ক, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র।

সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের ৩০টি জেলা। ঝড়ে প্রায় ৫ হাজারের অধিক মানুষ মারা যায়। দক্ষিণের উপকূলীয় জেলাগুলো পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। সরকারি হিসেবে সিডরে ৩৩৪৭ জন মানুষ নিহত, ৫৫২৮২ জন আহত ও ৮৭১ জন নিখোঁজ হয়।

গবাদি পশু মারা যায় ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০৭টি। ৩০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এর মধ্যে ১২ টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০টি উপজেলার ১৯৫০টি ইউনিয়নের প্রায় ২১ লাখ পরিবারের ৮৯ লাখ ২৩ হাজার ২৫৯ জন মানুষ, ১৬৯৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৮ লাখ ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল, ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৪২টি বাড়ি, ৮০৭৫ কিলোমিটার সড়ক এবং ৩৫৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *