বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

দেশের ১৩ অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪৫ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলা বন্ধের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া এবং জুয়া খেলা আইন আরও যুগোপযোগী করারও নিরদেশ দিয়েছে আদালত।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

ক্লাবগুলো হলো- ঢাকা ক্লাব গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন- কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- তাও জানতে চান আদালত।

এ সময় স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ঢাকা, খুলনা ও সিলেট এবং র্যাবের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এরপর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। পরে ওই দিন রায় ঘোষণার জন্য ২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন। পরবর্তীতে রায়ের দিন পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ধার্য করেন হাইকোর্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *