বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

নিজ ধর্মে নিষ্ঠা পর ধর্মে সহিষ্ণুতা- শ্রী অরবিন্দ ধর

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ১২৩ পাঠক
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

প্রতি বছর রমজান শেষেসবার দ্বারপ্রান্তে আনন্দ ও খুশীর বার্তা বয়ে আনে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের চির জাগতিক ঈদোৎসব (ঈদুল ফিতর)। এ ঈদোৎসব আনন্দে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ও প্রাণচাঞ্চল্যের সমতানে অংশ নিতে দেখা যায়।
আমি নিজে ও সবার সাথে মিলিত হয়ে আনন্দে মেতে উঠি।

সব ধর্মীয় উৎসবের মূল কথা হচ্ছে, মানুষে -মানুষে প্রেমপ্রীতি, স্নেহ -ভালবাসা ও ভাতৃত্ববোধের জাগরণ ঘটানো, কোন ধর্মীয় অনুশীলন -ধর্মীয় চেতনা, মানুষে -মানুষে হিংসা -বিদ্বেষ এবং ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না।
একাত্মবোধ, অভেদজ্ঞান,সততা ,ন্যায়,আদর্শ অহিংসা ও সৌহার্দ্যতাই সব ধর্মের মূলমন্ত্র ,উপাসনা,আচার অনুষ্ঠানের কার্যক্রম ভিন্নতর ও বিতর্কের প্রশ্ন নেই।

পরম প্রভূ যেহেতু সব জীবজগতের অধিশ্বর, এক এবং অদ্বিতীয়; তাঁর কাছে বর্ণ-গোত্র, ধনী-দরীদ্র সম্প্রদায়ের কোন স্থান নেই। শুধু ন্যায় -অন্যায়,পাপ-পূণ্য, সৎ -অসৎ,আচার-ব্যাবিচারের বেহেশত-দোজক এবং স্বর্গ-নরকের সিদ্ধান্ত হবে বলে অনুভূত হয়ে লিখছি,বেহেশত-দোজক,স্বর্গ-নরকের বিতর্ক উপস্থাপনে ইহজগতেই কৃতকর্মের ফল অনুযায়ী দুঃখ-কষ্ঠ, রোগ-ব্যাধি ও সুখ শান্তির ব্যাবস্থা রয়েছে। কাজেই স্ব-স্ব ধর্মীয় গন্ডিতে বিশ্বাস রেখে সহিষ্ণুতা ও সমভাবাপন্ন হয়ে সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে, সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে যাওয়াই শ্রেয় এবং কল্যাণকর ।

“নিজ ধর্মে নিষ্ঠা-পর ধর্মে সহিষ্ণুতা” সকল মানুষের ব্রত হওয়া কাম্য, এ ভাবধারায় কখন ও কোথাও কোন ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারেনা ।
যেমন আমি নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবে সঠিক নিয়মানুসারে এবার ২৭ রমজান রোজা পালন করে ইফতার করেছি হেযবুত তওহীদ নামের ইসলাম ধর্মীয় একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীবৃন্দের সাথে, পূর্ণদিনটি বাজে সংঙ্গ, মুক্ত হয়ে স্বধর্মীয় চেতনায়ই সত্য, ত্যাগ, সংযমী ভাবনায় ভাবিত হয়েছি, মনে পবিত্রতা অনুভব করেছি, আত্মচেতনা বৃদ্ধি কল্পে।
গত বুধবার ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জীবনচলায় ত্যাগের আদর্শে আত্মশুদ্ধির চেতনায় আনন্দঘন পরিশরে
গত হয়ে গেলো একমাস রোজা পালন শেষে ঈদোৎসব (ঈদুল ফিতর)।
রমজান এবং ঈদ উৎসব নিয়ে লেখার দক্ষতা আমার নেই, থাকার কথাও নয়, যেহেতু আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী একজন জ্ঞানপিপাসু এবং নিজধর্মে নিষ্ঠা আর পর ধর্মে সহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতার তীব্রতর বলেই কলম ধরার সাহষ পেয়েছি।
৩০ টি রোজা পালন করার পর আসে, শিশু -কিশোর সহ সকল মানুষের সন্মুখে- সুখ-দুঃখ আনন্দ বিরাজিত” ঈদুল ফিতর” ঈদ উৎসব, রমজান ও ঈদোৎসবে রাসুল এবং কোর আনের আদর্শ, মূল সুর,মর্মবাণী সর্বশ্রেণীর মানুষের অন্তরে-অন্তরে সঞ্চারিত হয়।
ঈদ মোবারক মানুষে-মানুষে প্রেমপ্রীতি মিলনের এক অপূর্ব সমারোহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক সুবর্ণ সময়,এখানেই উৎসবের তাৎপর্য, ঈদোৎসব আবদ্ধ নয় ঈদোৎসব ছড়িয়ে পড়ার। উৎসব বলে আমার আনন্দে তুমি এসো, অফুরন্ত আনন্দের মাঝেই অন্তরে-অন্তরে ভাগ করে নেই পরস্পরের জীবনের দুঃখগুলোকে, দুঃখ বাড়ে দুঃখ কমে ওই ঈদ উৎসব আনন্দে। দুঃখে যাদের জীবন গড়া, তাদের দুঃখকে আনন্দের ভাগ দিয়ে কমিয়ে রাখাই ঈদ উৎসবের মাহাত্ব্য, সকল দুঃখক্লীষ্ঠ মানুষের দুঃখকে বরণ করে নেয়াই ঈদের আনন্দ উল্লাস।

শহর থেকে গ্রামে গিয়ে পাড়ায়-পাড়ায়, এ বাড়ী ও বাড়ী এবং শহরে মহল্লায়-মহল্লায়, এ বাসায় ও বাসায় রাস্তার পাশে একবছর পর আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সর্বস্থরে পরম্পরে হচ্ছে হিংসা -বিদ্বেষ ভূলে সম্প্রীতির বন্ধনে ঈদের কোলাকুলি।

এ ঈদোৎসবে সুখীজন সমভাবে দুঃখীজনকে বক্ষে টেনে নিয়ে পাশে দাঁড়ালো ভাতৃত্বের বন্ধনে, এই হলো আনন্দের ব্যাকুলতায় মিলনের ঈদুল ফিতর।

তাই এক মাস এ ব্রত পালন শেষে ঈদ উৎসবের আনন্দে আবদ্ধ নয়, পরমানন্দে ঈদের আনন্দ উন্মোক্ত ছড়িয়ে পড়ার।
রাসূল ও কোর আনের আদর্শ অন্তরে -অন্তরে সঞ্চয় করার একমাত্র পবিত্র সময়, রমজান ও ঈদ উৎসব।

আকাঙ্খিত আগামী সুন্দর সম্ভাবনাময় শিশু-কিশোরের শুদ্ধ প্রেম পরশে স্রষ্ঠার কৃপা বিরাজে বিশ্বে চলমান অশুভ শক্তি বিনাশে ।।

লেখক- সাংবাদিক, কলামিষ্ঠ, মানবতাবাদী শ্রী অরবিন্দ ধর । মোবাইল -০১৭২৪-১৪১৬৩৩


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *