শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোনা,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৭: নেত্রকোনায় স্ত্রীকে খুন করার পর থানায় গিয়ে জামাল উদ্দিন সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ বলছে, এর আগেও জামাল উদ্দিন তার ভাবিকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ওই মামলায় এখন জামিনে আছেন তিনি।
আটপাড়া উপজেলার সুখারী দক্ষিণপাড়া গ্রামে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ আরো বলছে, জামালের অভিযোগ, স্ত্রী কথা শুনতেন না। বলার পরও মশার কয়েলে আগুন ধরাননি তিনি। জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরো হত্যা মামলা আছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, স্ত্রী রুমা আক্তারকে (৩৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন জামাল। ভোরে আটপাড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ রুমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রুমার বাবার বাড়িও একই গ্রামে। ১৯৯৯ সালে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে কলেজে পড়ে আর ছোটটি অষ্টম শ্রেণিতে। আটপাড়া থানার পরিদর্শক তদন্ত এ টি এম মাহমুদুল হক বলেন, জামাল নিজেই থানায় এসে স্ত্রী রুমাকে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে ভাবিকে হত্যা করার কথাও তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
কয়েকজন এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, জামাল উদ্দিন ২০০৭ সালে বড় ভাই জালাল উদ্দিন সরকারের স্ত্রী জহুরা আক্তারকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। অভিযোগ ছিল, জোহুরা তার কথা শুনতেন না এবং প্রায়ই ঝগড়া করতেন। ওই হত্যার পরই তিনি দৌড়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। হত্যা মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। তিনি ২০১১ সাল থেকে জামিনে রয়েছেন। ২০০০ সালে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুটি হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন জামাল উদ্দিন। এসব মামলার রায়ে তিনি খালাস পান। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহানের ভাষ্য, রুমার বড় ভাই সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।