বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

পাটের বাম্পার ফলন

শাহজাহান হেলাল / ৩৯ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

ফরিদপুর জেলার সরকারী স্লোগান‘সোনালী আঁশে ভরপুর,ভালোবাসি ফরিদপুর’ খ্যাত ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলাতে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমানে পাটের চাষ হয়েছে। উপজেলার সকল ইউনিয়ন এলাকার মাঠে পাট দেখলে বোঝা যায় ফলন কেমন হবে।

জমিতে যে রকম ভাবে পাট গাছ দাঁড়িয়ে আছে তাতে কৃষকের মন জুড়িয়ে যায়। ইতিমধ্যে সব এলাকার জমিতে পাট ৫/৬ ফুট লম্বা হয়েছে। কিছুদিনে মধ্যে পাট পরিপক্ক হলে কৃষকেরা বাছপাট কাঁটতে শুরু করবে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পাট চাষীরা নিজস্ব উদ্যোগে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে আগাম পাট বীজ বপন করেন। সে কারনেই মন জুরানো মাঠের পর মাঠ সোনালী আশ পাট সবুজে ভরপুর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৮ হাজার ৩ শত ৫২ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫ শত ৫২ হেক্টর। পাট বপনের পর অনুকুল আবহাওয়া ও সময়মত বৃষ্টি পাওয়ার কারনে পাটের আকার এবং আঁশের পরিপক্কতা ভালো হবে। পাট পঁচানোর জন্য সময়মত পানি হলে এ বছর পাটের ফলন হবে আশাব্যঞ্জক।

উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী, লক্ষীনায়রনপুর, দাসের মোবারকদিয়া, রায়পুর, গোপালদি মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী মাঠ, নরকোনা মাঠ, কলাগাছি মাঠ, গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুর মাঠ, কোরকদি মাঠ, আড়পড়া মাঠ, নওপাড়া মাঠ এলাকায় দেখা যায় প্রচুর পরিমানে পাটের চাষ হয়েছে। পাট দেখলে মন ভরে যায়। কৃষকেরা জানান,সময়মতো পানি হলে পাট পঁচাতে কৃষকের সমস্যা হবে না।

ব্যাসদী গ্রামের পাট চাষী লাভলু মিয়া, হাকিম সেক, দুই একর করে পাট চাষ করেছেন। তারা জানান সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করেছি। বৃষ্টির অপেক্ষা না করে পাটের জমিতে দুই বার সেচ দিয়েছি। পাটের যে অবস্থা আমরা বাম্পার ফলনের আশা করি । গত বছর পাটের যে দাম পেয়েছি তাতে লাভের মুখ পাট চাষিরা দেখবেন বলে আশা করি। মেগচামী গ্রামের পাট চাষী সোহরাব শেখ জানান, আমার ২ একর জমিতে পাট রয়েেেছ। ভালো পাট জন্মেছে। দাম ভালো পেলে খুশি হব।

মধুখালী বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ মিয়া জানান, এ অঞ্চলের পাটের আঁশের মান ভালো হওয়ায় মিল মালিকদের কাছে পাটের চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভী রহমান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া পাট চাষের উপযোগী হওয়ায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৩শ ৫২ থাকলেও পাট বীজ বপন হয়েছে ৮ হাজার ৫শ ৫২ হেকটর জমিতে। কৃষকের আগ্রহ আর আমাদের প্রচেষ্টায় এজকের এ অবস্থান। এ ছাড়া গত বছর পাটচষীরা পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর চাষীরা পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে। এ বছর দাম ভালো পেলে কৃষকের উপকার হবে। আল্লাহ রহমত যদি থাকে যথা সময়ে পাট পচানোর জন্য পানির ব্যবস্থা হলেই হবে ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *