শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন
বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঢাকা : করোনার মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এরফলে প্রায় এক মাস ধরে পুঁজিবাজার বন্ধ। তাই ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলনযোগ্য (ম্যাচুয়েড) টাকাও তুলতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। এত এই খাতে নির্ভরশীলরা অর্থ সংকটে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা-সংক্রমণ দীর্ঘমেয়াদি হলে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা আরও সংকটে পড়বেন।
একটি বেসরকারি ফার্মে চাকরি করেন মো. আব্দুল করিম। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ব্যবসাও করেন। দেশের অন্যতম ব্রোকারেজ হাউজ ইবিএল সিকিউরিটিজে তার বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো পরিবার নিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছি। তবে, বিও হিসাব থেকে কিছু টাকা তুলতে পারলে পরিবার নিয়ে বাঁচতে পারতাম।’
ব্রোকারেজ হাউজ জয়তুন সিকিউরিটিজ ইন্টারন্যাশনালে বিও হিসাব খুলে দীর্ঘদিন ধরে শেয়ার ব্যবসা করছেন মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার না খুললে প্রয়োজনে ব্রোকারেজ হাউজ কিছু দিনের জন্য খোলা রাখা যেতে পারে। আর এই মাধ্যমে রিকুইজিশন গ্রহণ করে ব্যাংকে টাকা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করলে আমরা তুলতে পারতাম।’
জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, ‘করোনার কারণে যদি ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ে, তখন বিনিয়োগকারীরা তাদের কোডে থাকা ম্যাচুয়েড টাকা কীভাবে তুলবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’
ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আগে অফিস খুলুক। তখন বিনিয়োগকারীরা ম্যাচুয়েড টাকা তুলতে পারবেন। তবে এ মুহূর্তে অফিস খুলে তাদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।’
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ মুহূর্তে পুঁজিবাজার খোলা না হলেও বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে উত্তোলনযোগ্য টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’ অন্তত এক মাস চলার জন্য মতো কিছু টাকা ঋণ হিসেবে হলেও দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।