শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭: আজ ১০ ডিসেম্বর। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো: রুহুল আমিনের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ছয়দিন আগে ১৯৭১ এর এই দিনে খুলনায় যুদ্ধরত অবস্থায় পাক হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান হামলায় শহীদ হন তিনি। এলাকাবাসীর দাবি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন কমপ্লেক্সকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হোক।
চট্রগ্রাম নৌবাহিনীতে ইঞ্জিন অফিসার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। একাত্তরের ৯ ডিসেম্বর খুলনায় পাক হানাদার বাহিনীর নৌঘাটি তিতুমীর দখলের জন্য মুক্তি বাহিনীর রনতরী “পলাশ” “পদ্মা’ এবং ভারতীয় রণতরী ‘পারভেন’ নিয়ে বীরত্বের সাথে ‘হিরণ পয়েন্টে’ প্রবেশ করেন তিনি।
পরদিন মংলা বন্দরের কাছে পৌঁছার পর হঠাৎ হানাদার বাহিনী বিমান থেকে রণতরী গুলোর উপর বোমা ফেলতে শুরু করে। রণতরীতে বিস্ফোরণ ঘটলে তিনি গুরুতর আহত হন আর সেই অবস্থাতেই নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু সাঁতরে তীরে উঠার সময় রাজাকাররা নির্মম নির্যাতনে হত্যা করে এই বীরকে। স্থানীয়রা খুলনার পূর্ব রূপসার চরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনকে দাফন করেন। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় ২০০৮ সালের নির্মাণ হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো: রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
তবে দর্শণার্থীরা হতাশ এই বীরশ্রেষ্ঠের ব্যবহারের কোন কিছুই এখানে নেই । বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের গ্রামের বাড়িতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া বাড়িটিও এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রহুল আমিনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।