বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

মহেশপুরে পল্লী জীবিকায়ন কর্মসূচী’র কর্মচারিদের ৬ মাস বেতন ভাতা না পেয়ে চলছে মানবেতর জীবন

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩০ পাঠক
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোডর্ (বিআরডিবি)এর পল্লী জীবিকায়ন কর্মসূচীর আওতায় কর্মচারিরা গত ৬ মাস যাবত বেতন ভাতা না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষে বিআরডিবির আওতায় পল্লী দরিদ্র সমবায় প্রকল্প গ্রহন করা হয়।

এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৩ সালে মহেশপুরে প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উপজেলা বিত্তহীন সমবায় সমিতি (ইউবিসিসিএ) গঠিত হয়। তখন হতেই ধারাবাহিকভাবে বর্তমানে বিআরডিবির পল্লী জীবিকায়ন কর্মসূচীর আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী বিআরডিবি বা সরকার কর্তৃক বেতন ভাতা বহন করা হচ্ছে না। বিতরণকৃত ঋণের সার্ভিস চার্জ হতে কর্মরত ১৩জন কর্মককর্তা-কর্মচারির বেতন ভাতা নির্বাহ করতে হচ্ছে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাপ্ত ঋণ তহবিল অপ্রতুল হওয়ায় বেতন ভাতা বঞ্চিত হয়ে কর্মচারিবৃন্দ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এ কর্মসূচীর আওতায় মহেশপুর উপজেলায় বিত্তহীন সমবায় সমিতি ১১৬টি ও সদস্য ৩৮৮৯টি বিত্তহীন পরিবারকে সংগঠিত করে ১কোটি ৩০লক্ষ টাকা ঘূর্ণায়ামান ঋণ তহবিল ব্যবহার করে এ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ২৮কোটি ২৮লক্ষ টাকা। তাছাড়া এ পর্যন্ত ৮৫০জনকে বিভিন্ন পেশাভিত্তিক ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্যদের জমাকৃত নিজস্ব পূজির পরিমান ৩৮লক্ষ ৭৫হাজার টাকা। উক্ত সদস্যগণের আত্মকর্মসংস্থান ও জীবিকায়ন কার্যক্রম বর্তমান পরিস্থিতিতে মারাত্মকভাবে ব্যহত হওয়ায় ও বন্ধ থাকায় তারা অর্ধভুক্ত ও অভুক্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এ অবস্থায় তারা ঋণ কিস্তি পরিশোধের ক্ষমতাও হারিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মহেশপুর অফিসের প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মুসা জানান, করোনা ভাইরাস জনিত কারণে মার্চের ৩য় সপ্তাহ হতে ঋণ আদায় ও বিতরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে আয় না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতা প্রাপ্তি সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ক্যান্সার আক্রান্ত এ কর্মকর্তা আরো জানান, বেতন ভাতার এ অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তিনি তার চিকিৎসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কন্যার ব্যয়ভার নিয়ে শঙ্কিত। এ দপ্তরে দুই যুগ ধরে কর্মরত মাঠ সংগঠক অসিমা বালা গাইন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন যে, ৫মাস যাবৎ বেতন ভাতা বঞ্চিত হয়ে পরিবার সহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পজীক জনবলের চাকুরি স্থায়ীকরণ সহ বেতন ভাতা নিশ্চিত করণের আবেদন জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *