শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
রাজধানীর মালিবাগ ফ্লাইওভারে চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২ সেপ্টেম্বর রাত তিনটায় শাহজাহানপুর থানা এলাকা হতে অভিযুক্ত নুর উদ্দিন ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ মিলনের ব্যবহৃত স্যামসাং জে ফাইভ মোবাইল সেট, দুইটি হেলমেট ও ডায়াং ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যার বর্ণনা দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন। আটক নুর উদ্দিন তাদের কাছে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে ঘটনা কীভাবে ঘটেছে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ২৫ আগস্ট দিবাগত রাত তিনটার দিকে এক যাত্রীকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় নামিয়ে দেন মিলন। সেখান থেকে তিনি যাচ্ছিলেন গুলিস্তানের দিকে। মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের উঠতে আবুল হোটেলের ঢালে তাকে থামান নুর উদ্দিন। গুলিস্তান যাবেন বলে ৫০ টাকায় ভাড়া ঠিক করে উঠেন মোটর সাইকেলে।
ফ্লাইওভারের সবচেয়ে উপরের সড়কে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন নুর উদ্দিন। বলেন, তিনি সেটি চালাতে চান। বাইকার মিলন রাজি না হলে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। ‘সুযোগ বুঝে নুর উদ্দিন এন্টিকাটার (কাগজ কাটার ধারাল ছুরি) দিয়ে মিলনের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে ফ্লাইওভারে রেখে মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে চলে যান।’
কাটা গলা নিয়ে মিলন ফ্লাইওভার থেকে কোনো রকমে নিচে নেমে আসার পর তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে নেয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মিলন নিজের জীবন হারানোর পাশাপাশি স্ত্রী এবং দুটি সন্তানের জীবনকেও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে গেছেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকায় থাকতেন।