শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

রাত পোহালেই ভোট, অনিয়ম করলে কঠোর হাতে দমন: রিটার্নিং কর্মকর্তা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৭ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, সোমবার,২৫ জুন ২০১৮: রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আর এই নির্বাচনে প্রার্থী, সমর্থক কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকারও পক্ষ থেকে কোনও ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।

সোমবার (২৫ জুন) নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়াম থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ করার সময় সেখানে ভোটে অনিয়ম সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

রকিব উদ্দিন বলেন, ‘অনিয়মকারী যেই হোক- তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি গাজীপুরের ভোটে জনগণ আরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও নিবিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।’

নারী ভোটারদের প্রসঙ্গ জিসিসি’র এই রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজীপুরে ফিফটি পার্সেন্ট মহিলা ভোটার, তারা যেন ভোটগ্রহণের দিন বাড়িতে বসে না থাকে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে দেশবাসী একটি সুন্দর মেসেজ পাবে।’

নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বিষয়ে বিএনপির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রকিব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘কালকে (রবিবার) পুলিশ সুপারকে লেখা একটি চিঠি আমরা পেয়েছি, যাতে বলা আছে, ফেরারি ছাড়া কাউকে বিনা কারণে হয়রানি করা যাবে না। এবং নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। সে বিষয়টি আমরা প্রার্থী হাসান সরকারকেও জানিয়েছি, অন্য প্রার্থীদেরও জানিয়েছি। পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি, যাতে সবাই সচেতন থাকে।’

এসময় তিনি গাজীপুরবাসীকে একটি ‘সুন্দর নির্বাচন’ উপহার দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে মঙ্গলবারের ভোটকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত ১২টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের প্রার্থী-সমর্থকদের সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়েছে ২৯ প্লাটুন বিজিবি। ২৪-২৭ জুন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন এবং ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন, ১৯টি সংরক্ষিত আসনে ৮৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬।

গাজীপুর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করতে পারবেন ৩০ লাখ ও কাউন্সিলররা এলাকা ও ভোটারের পার্থক্য অনুসারে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোট আয়তন ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গ কিলোমিটার। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৫। ভোটকক্ষ ২ হাজার ৭৬১টি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *