শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্তমানকন্ঠ ডটকম : ১৭ এপ্রিল শুক্রবার দূতাবাসের খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত একটি সংবাদ এবং বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় উক্ত সংবাদটি প্রচারের বিষয়টির প্রতি রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং শ্রম উইং এর দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে উক্ত সংবাদে প্রকৃত তথ্য আসেনি। সেখানে অসঙ্গত, একপাক্ষিক এবং অসম্পূর্ণ তথ্য এসেছে।
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে যেসব সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি খাদ্যাভাবে পতিত হয়ে ইতোমধ্যে খাদ্য সাহায্যের জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছেন, তাদের অনেকেই প্রতিনিয়ত দূতাবাসে ফোন করে জানতে চাচ্ছেন কবে বা কখন তারা খাদ্য সাহায্য পাবেন। যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে খাদ্য সাহায্য নিয়ে খাদ্যাভাবে পতিতদের ঘরে ঘরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা, সেহেতু এরকম খাদ্যাভাবে পতিত প্রবাসী বাংলাদেশি যারা রিয়াদের বাথা এলাকার কাছাকাছি থাকেন তাদের সঙ্গে গতকাল রাতে দূতাবাস থেকে ফোনে যোগাযোগ করে বলা হয়েছিল যে যদি তারা সত্যিকারভাবে খাদ্যাভাবে পড়ে থাকেন, যদি তাদের প্রয়োজন এখনই অনিবার্য হয় এবং তারা নিজ দয়িত্বে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত আসতে পারেন তবে তাদেরকে দূতাবাসের তরফ থেকে খাদ্য সাহায্য দেওয়া সম্ভব হবে।আবার উল্লেখ করছি এটা শুধু বাথা এলাকা বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেলের কাছাকাছি যারা থাকেন তাদেরকেই বলা হয় এবং আসা না আসার বিষয়টি তাদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এরকম ৫০/৬০ জন আসবে বলে ফোনে কনফার্ম করেছিল। যেন বিতরণে সমস্যা না হয় এবং ভিড় তৈরি না হয় সেজন্য ১২/১৫ জনের একেকটা গ্রুপ করে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে প্রতি ঘন্টায় এক একটা গ্রুপকে আসার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাদেরকে অনুরোধ করা হয় খাদ্য বিতরণের বিষয়টি কোনভাবেই কারো নিকট প্রচার না করার জন্য, তাদের জন্য বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আসার জন্য এবং সাথে কাউকে না আনার জন্য। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে বা যারা ফোন পেয়েছেন তাদের বাইরেও বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক লোক এসে ভিড় করেছেন এবং বিতরণের লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
এখানে দূতাবাসের নেওয়া পদক্ষেপে কোন অসঙ্গতি ছিলনা। এটা দূতাবাসের পরিকল্পনারও সমস্যা না। দূতাবাস অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সকলের সাথে আলোচনা করেই শুধু প্রচন্ড খাদ্যাভাবে পতিত প্রবাসীদের বাঁচানাের জন্যই সীমিতভাবে এই খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে।
কিন্তু একটা স্বার্থান্বেসী এবং কুচক্রিমহল পরিকল্পিতভাবে দূতাবাসের খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম তথা দূতাবাসকে বিতর্কিত করতে চেয়েছে।
যিনি বা যারা এই বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করেছেন এবং দূতাবাস থেকে প্রকৃত তথ্য না জেনে যিনি বা যারা এটা সংবাদপত্র ও সোস্যাল মিডিয়ায় নেগেটিভভাবে প্রচার করেছেন এবং প্রচার করতে অন্যদেরকে উৎসাহিত করেছেন, তার বা তাদের পেশাদারিত্ব, দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম, মানবতাবোধ সর্বোপরি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়!
দূতাবাস সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট থেকে ভবিষ্যতে আরও পেশাদার এবং দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।