শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭: মিয়ানমারের রাখাইনে দমন-পীড়নের কারণে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে কম্বোডিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার নমপেনে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন খাত নিয়ে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি ও নয়টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার সকালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় পিস প্যালেসে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সাম্প্রতিক কিছু আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা বলেছে।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও কথা বলেছি, যা আমাদের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বিনষ্টের হুমকি তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশকে এখন ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বইতে হচ্ছে, যাদের মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৩০ হাজার মানুষ মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে তাদের ঘরে ফিরতে পারে, সেজন্য মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের কাছেও আমি সহযোগিতা চাইছি, যাতে এ সঙ্কটের একটি টেকসই সমাধানে আমরা পৌঁছাতে পারি, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব চুক্তি দুই দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে। এসব চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল রবিবার সকালে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করছেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকালে নমপেনে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের রাজকীয় স্মৃতি মূর্তিতে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যোগ দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহানুকের সঙ্গে রাজকীয় স্রোতা এবং কম্বোডিয়ান সিনেট প্রেসিডেন্ট সে চুহুম ও ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি প্রেসিডেন্ট হেং সেমারিনের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল মঙ্গলবার বিকালে দেশে ফিরবেন।