শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : আলাদা দুটি গ্রামের দু’জন সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ পরোলোকগমন করেন। শুক্রবার রাতে তাদের নিজ নিজ বাসস্থানে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কিন্তু করোনা আতঙ্কে তাদের সৎকার কাজে এগিয়ে আসছে না সনাতন ধর্মাবলম্বী কোন লোক জন। লাশ নিয়ে পরিবারবর্গরা পড়েছেন মহা বিপাকে। তারা বাধ্য হচ্ছেন লাশ মাটিতে সমাধি করতে।
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার মৃত দু’জন হলেন উপজেলার সেন্দ্রা গ্রামের রাধা কৃষ্ণ দাস ও হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জীব কুমার রায়।
মৃত রাধা কৃষ্ণের ছেলে রিপন কৃষ্ণ সাংবাদিকদের জানান, আমার বাবা শুক্রবার রাত ১ টার সময় বাড়ীতেই মারা যান। তিনি অসুস্থ্য ছিলেন তাকে আজ শনিবার হাসপাতালে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা রাতেই না ফেরার দেশে চলে যান।মৃত্যুর পর তার সৎকার কাজে কেউ এগিয়ে আসছে না। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজের বাড়ীতে মাটি দিয়ে সমাধি করবো।
অন্যদিকে হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জিব কুমার রায়ের মৃতদেহ হাজিগঞ্জ পৌর শ্মশানে নেয়া হলে ফেরত পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শ্মশান কমিটির সদস্য সঞ্জু সাহা মুঠফোনে জানান, শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে আসা হলে আমাদের কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী ফেরত পাঠানো হয়। তাকে তার বাড়িতে সমাধি করা হবে বলে জানান তিনি।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন জানান, মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে একটি পরিবার দির্ঘক্ষন শশ্মানে বসে থাকলো, কিন্তু মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করতে দেয়নি কমিটির সভাপতি অপন সাহা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
অবশেষে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ (সার্কেল) ও শাহরাস্তি-কচুয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত (সার্কেল) মো. আফজাল হোসেনের হস্তক্ষেপে হাজীগঞ্জ পৌর মহা শ্মশানে করোনা উপসর্গে নিহত ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের বেলচোঁ বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী রাধা কৃষ্ণ দাসের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।