বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

লায়লাতুল কদরের রাতের ফজিলত

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৬২ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

গোলাম রসুল (মনির), বর্তমানকন্ঠ ডটকম, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া : মাহে রমযানের শেষ দশকের রজনীতে রয়েছে পবিত্র লায়লাতুল কদর, লায়লাতুল কদর এর ফজিলত বা গুরুত্ব অনেক বেশি , বান্দাহর গুনাহ মাফের অপূর্ব সুযোগ হলো লায়লাতুল কদর এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন মাজিদে “সূরাতুল কদর” নামে আলাদা করে একটি স্পেশাল সূরা নাযিল করেছেন।

আল্লাহ পাক বলেন:–
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

শবে কদরের এই রাতেই অবতীর্ণ হয় পবিত্র কোরআন, আর এই রাত হলো এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থ্যাৎ একটানা ৮৩ বছরের বেশি ইবাদতের সমান।
আল্লাহর নির্দেশে এ রাতে ফেরেস্তাগণ ও রুহ ভাগ্য লিখনী নিয়ে জমিনে অবতীর্ণ হন।

সহীহ্ বুখারী শরীফের ১৮৮৭ নাম্বার হাদিসে এসেছে: হযরত আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (স:) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমযানের রোযা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেরকার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

কোন রাতটি লাইলাতুল কদর?
অনেকেরই মাঝে প্রশ্ন থাকে লাইতুল কদর রাত কোন রাত্রি, ভাগ্য রজনীর রাত্রিটি হলো রমজান মাসের শেষ দশের যে কোন বেজোড় রাতই হলো “লাইলাতুল কদর”।
তবে বেশিরভাগ আলেমগণ মতামত দিয়েছেন ২৭ রমযানের রাতটি বেশি সম্ভাব্য বলে অভিহিত করেছেন।

সহীহ্ বুখারীতে শরীফের ১৮৯২ নাম্বার হাদিসে এসেছে: হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (স:) বলেছেন যে, তোমরা লায়লাতুল কদর রমযানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতে তালাশ কর।

সহীহ্ বুখারী শরীফের আরেকটি হাদিসে এসেছে
হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স:) রমযানের শেষ দশ দিনে ই’তেকাফে বসতেন এবং বলতেন, তোমরা লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশ দিনে তালাশ কর।

তিরমিযি শরিফে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
লাইলাতুল কদরে আমল করার মতো একটি বিশেষ দোয়ার কথাও বলা হয়েছে হযরত আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমরা যদি লাইলাতুল কদর পাই তাহলে কি করবো?
উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন, বলবে আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া ফাআফুআন্নি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ তুমি পরম ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ কর, কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও’।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *