শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন

শেরে বাংলা মেহনতি মানুষের রাজনীতি করে গেছেন : মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঢাকা।  / ২৯ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন

শেরে বাংলা ছিলেন আমাদের বাঙালি জাতিসত্তা ও জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়ক মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি-জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী বলেন, তিনি এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে রাজনীতি করে গেছেন। যে কারণে তিনি ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে কৃষক-প্রজার মুক্তি আনয়ন করেন।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শেরে বাংলার মাজার প্রাঙ্গনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতি এক কঠিন সময় পার করছে। সরকারী ব্যর্থমন্ত্রীদের ব্যর্থতা ও নিয়ন্ত্রনহীন দুর্নীতি প্রধানমন্ত্রীর সকল অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে। শুধু দৃশ্যবান উন্নয়ন দিয়ে জনগনের মনে স্থান করে নেয়া সম্ভব নয়। টেক সই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন নির্মূল।

তিনি বলেন, উপমহাদেশের রাজনীতিতে নতুনত্ব সৃষ্টি করেছেন শেরে বাংলা। তিনি বাঙালিদের জন্য শিক্ষার জাগরণ ঘটিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করেছেন। এখন সেই বাংলাদেশকে বিশ্বমানের উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে হবে।

জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম.এ জলিল, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জয় বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, এনডিপি’র মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সম্পাদক ডাঃ শামসুল আলম, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, কৃষক লীগ নেতা খন্দকার ফরিদ আহমেদ, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, সকলের জন্য সমন্বিত চিন্তা করার জায়গা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ধারণ, লালন, চর্চা ও বিশ্বাস করতেন। তিনি যেটা বিশ্বাস করতেন সেটা কার্যকর করতেন। নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধকে ধারণের মাধ্যমে শেরেবাংলার আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল বলেন, এদেশের শিক্ষা বিস্তারে সবচাইতে বেশী অবদান রাখেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। যে কারণে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ এদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তার আদর্শ বর্তমান প্রজন্মের সামনে আমাদের তুলে ধরা উচিত।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, রাজনীতি যখন পথ হারাচ্ছে, রাজনীতির নিয়ন্ত্রন যখন অসাধু কালো টাকার মালিক, সন্ত্রাসী, নীতিহীন ব্যবসায়ী আর সুকিধাবাদিদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে তখন শেরে বাংলার মতো নেতাদের প্রয়োজনীয়তা জাতি মর্মে মর্মে উবলব্ধি করছে।

তিনি বলেন, ত্যাগী-সৎ-দক্ষ রাজনীতিক নেতা-কর্মীরা যখন রাজনীতি থেকে কোনঠাসা হয়ে নিরব হয়ে যায় তখনই দেশ-জাতির অস্তিত্ব সংকটে পরে। এখন সমগ্র দেশ-জাতি ভয়াবহ কঠিন সময় অতিক্রম করছে। চারদিকে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী আর কালো টাকার মালিকদের জয়জয়কার। এসময় শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু, অলি আহাদ, ভাষা মতিনকে স্মরণ করতে হবে, ধারন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে ঋণসালিশি বোর্ড কৃষককুলকে মুক্ত করে দিয়েছিল। তিনি কৃষকের বেদনা বুঝতেন, কৃষকের চাওয়া-পাওয়া ও সমস্যা বুঝতেন। এ ভূখণ্ডের মানুষের তিনি মৌলিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। সে পরিবর্তন আনার লড়াইয়ে তখন রাজনীতি তত সহজ ছিল না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *