বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

সাত হাজার আটকে পড়া প্রবাসী কাতারে ফিরেছেন

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঢাকা।  / ৩১ পাঠক
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

মন্ত্রণালয় এবং কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টার ফলে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা ও দোহা রুটে পুনরায় বিমান চালু হওয়ার পর হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭,০০০ আটকে পড়া কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী কাতারে ফিরে গেছেন। বাকীদের ফিরে যাবার বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল সহ কর্মকর্তা পর্যায়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কাতার সরকার পর্যায়ক্রমে আটকা পড়া লোকদের ফিরিয়ে আনছে এবং আটকে থাকা বাকী বাংলাদেশীদেরও ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২৫০০ আটকে পড়া প্রবাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করেছেন, যাদের তথ্য বাংলাদেশ দূতাবাস কাতারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রেরণ করেছে। আটকে পড়া প্রবাসীদের বিষয়ে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। ইতোমধ্যে, প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য ২৫০০ জন প্রবাসীর সাথে দূতাবাস হতে যোগাযোগ করা হয়েছে। আটকে পড়া প্রবাসীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সাথে দূতাবাস হতে যোগাযোগ করে তাদের কর্মীদের দ্রুত ফিরে আনার ব্যপারে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা তাদের কর্মীদের ফিরে যাবার জন্য আবেদন করেননি। কিছু আবেদনকারী তাদের নিয়োগকর্তা আবেদন করেছেন কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত নন। এছাড়া, যাদের কোম্পানির কোন নাম ঠিকানা নেই সেসকল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

করোনা ভাইরাস প্রাদূর্ভাবের শুরু থেকেই কাতার সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কোভিড -১৯ মোকাবেলায় কাজ করছে এবং কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করছে। যে কারণে কাতারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দুটিই কম। ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৪৬ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে যে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান তা সম্পুর্ন করার জন্য কোভিড সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য কাতার সরকারের পক্ষ হতে জোর প্রচেষ্টা আছে। এর অংশ হিসেবে কাতারে আগত ব্যক্তিদের জন্য ৭ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে কোয়ারেন্টাইন সুবিধা অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দ্দিষ্ট হারে লোক কাতারে ফিরে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর হতে মাত্র চার মাসে বড় সংখ্যক আটকে পড়া কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী ইতোমধ্যে কাতারে ফিরে গেছেন। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা নিয়োগকর্তার আবেদন সাপেক্ষে আটকে পড়া বাকী প্রবাসীরা পর্যায়ক্রমে কাতারে ফিরতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এখাতিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোন টোকেন নেয়ার প্রয়োজন নেই এবং কোন নম্বর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে টোকেন সংগ্রহ করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক বার্তা প্রেরণ করা হলে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশে অবস্থানরত কাতার প্রবাসীদেরকে অনুরোধ করা হলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *