বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

সৌদি প্রবাসীরা দুঃশ্চিতায়, রাষ্ট্রদূতের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪১ পাঠক
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

বর্তমানকন্ঠ ডটকম : সৌদি আরবে প্রবাসীরা ফিরতে শুরু করেছেন।অনেকেই যেতে পারবেন কীনা তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন। অন্যান্য দেশের বিষয়েও আলোচনার জন্য আজ মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, ইরাক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কুটনীতিকবৃন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে আপনারা যেন নির্বিঘ্নে আপনাদের কাজে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য অনুরোধ জানান এবং তাঁরাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

কোভিড-১৯ পুরো পৃথিবীকেই নাড়া দিয়েছে। সৌদি আরবও এ দূর্যোগের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারেনি। ব্যবসা বানিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। রাতারাতি এ সমস্যা থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই। তাই ধৈর্য্য সহকারে আমাদের সবাইকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

এক্সিট রি-এন্ট্রি ভিসা নবায়নের জন্য সৌদি সরকারের কিছু শর্ত আছে। তার মধ্যে আছে :

১।আবেদনের সঙ্গে জাওয়াজাতের প্রিন্টের মূল কপি, যাতে ইকামার মেয়াদ থাকতে হবে,
২।কফিলের আবেদন সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়িত হতে হবে,
৩।পাসপোর্ট ও এক্সিট এবং রি-এন্ট্রি ভিসার মূল কপি,
৪।সৌদি এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার তারিখসহ প্রিন্টের মূল কপি এবং
৫।মেয়াদসহ ইকামার ফটোকপি

গত ৩০ শে মার্চের মধ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য যারা নতুন ভিসা পেয়েছিলেন, তাদের ভিসা নবায়ন করতে হবে
এই সংখ্যা ২৫ হাজার এবং এই ভিসাগুলো বাতিল হয়ে গেছে ব্যবহার না করার জন্য।ভিসার জন্য দুতাবাস নির্ধারিত এজেন্সিতে যোগাযোগ করার ভিত্তিতে সবাইকে পর্যায়ক্রমে নতুন করে ভিসা দেয়া হবে।

যারা বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছিলেন এবং ফ্লাইট না পাওয়ায় আটকা পড়েছিলেন এবং যাদের কাজের অনুমতি রয়েছে (যারা আগে সৌদি আরবে কাজ করছিলেন), তাদের ভিসা এবং ইকামা সফর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত বৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং তাদের কফিলের অনুমতি থাকলে তারা যেতে পারবে এবং যাচ্ছে।

তবে নিয়োগকর্তার ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ার কারণে ভিসা রিনিউ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করে আসছেন আটকেপড়া অনেক প্রবাসী। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় দু:শ্চিন্তার মধ্যে আছেন। কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাননি , কফিল ক্লিয়ারেন্সটা দেয় নাই বা কফিলকে খুঁজে পাচ্ছে না , পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এরকম অভিযোগে আবেদনকারীর সংখ্যা মাত্র ৫৩ জন। আপনাদের আরো কারো এরকম অভিযোগ থাকলে কাগজপত্রসহ তা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে জমা দিতে পারেন।

তবে যে চাকরি দেবে সে যদি না দেয় তাহলে সেই বিদেশী নিয়োগদাতা বা কফিলকে সরকারের পক্ষ থেকে জোর জবরদস্তি করার সুযোগ নেই। সরকার কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুরোধ জানাতে পারে যার চেষ্টা চলছে।তবে কফিল তার কাজ বন্ধ করে দিলে বা তার দ্বারা লোক নেয়া সম্ভব নাহলে হতাশ হবার কিছু নেই। যেহেতু নতুন লোকও চাকরি পাচ্ছে সেহেতু সেইসব ফেরত আসা প্রবাসীদের উচিত অন্য চাকরি খোঁজা। অর্থাৎ যাদের কফিল তাদেরকে রাখতে রাজি হয়নি, প্রথমত তারা কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করুক, যাদের কফিল রাজি হবে না, তারা নতুন কফিলের জন্য চেষ্টা করতে পারে।

প্রবাসী যারা দেশে ফিরে এসেছেন তাঁদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭০০ কোটি টাকার একটা তহবিল গঠন করেছেন। আপনারা সৎ, দক্ষ, অভিজ্ঞ কাজেই দেশেও আপনাদের কর্মসংস্হানের সুযোগ হতে পারে।

১ অক্টোবর অর্থাৎ আগামীকাল থেকে সপ্তাহে মোট ২০টি ফ্লাইট চালু হচ্ছে এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্সের ১০টি এবং বিমানের ১০টি। ইতিমধ্যেই এয়ারলাইন্স দুটো তাদের পুরোনো টিকিটের বিনিময়ে নতুন টিকিট ইস্যু করতে শুরু করেছে। আশাকরছি আপনাদের যাত্রা আরো নির্বিঘ্ন আর সহজ হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *