বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে প্রথম ও প্রধান ব্রত’

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৫ পাঠক
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার,২৭ ডিসেম্বর ২০১৭:বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদসদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সজাগ ও সব সময় প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৭৫তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্যারেডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

নতুন কমিশনপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখবে অনেক রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। কাজেই এ দায়িত্ব পালনে তোমাদের সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে এই স্বাধীনতা নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, আজকের দিনটি তোমাদের জীবনে অত্যন্ত আনন্দের এবং গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে তোমাদের উপর ন্যাস্ত হচ্ছে দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময় হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের জীবনের প্রথম ও প্রধান ব্রত।

নতুন কমিশনপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের জনগণের পাশে থাকার এবং দেশ সেবার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা নিঃস্বার্থভাবে জনগণের পাশে থাকবে এবং দেশের সেবা করবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুগত এবং অধীনস্তদের প্রতি সহমর্মী হতে হবে তোমাদের। তোমাদের জন্য রইল আমার শুভকামনা।

তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তোমাদের এ সুনাম আরও এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে- এটিই আমার প্রত্যাশা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা এদেশের সন্তান। জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তোমাদের সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। দাঁড়াতে হবে যে কোনো দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে।

সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ এবং তাদের পরিচয়পত্র তৈরিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মহাসড়ক, সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ, ভোটার তালিকা ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও দক্ষতা দেখিয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে করে সুসজ্জিত প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। তিনি বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাসিং আউট ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল সাইফুল আলম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এ সময় সেখানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সংসদ্য, নৌবাহিনী প্রধান, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক, আমন্ত্রিত অতিথি, কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের অভিভাবকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *