শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে “মুক্তি ২০” বডি ডিজইনফেকশন চেম্বার স্হাপন

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৪০ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঢাকা : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডি.পি.এম. ডাঃ এস এম নাজমুল হক (সাগর) এর সার্বিক সহযোগিতায় ১৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের মূল ফটকে একটি “মুক্তি ২০” বডি ডিজইনফেকশন চেম্বার ট্রায়াল দেয়ার জন্য স্থাপন করা হয়।

ছোঁয়াচে রোগ বা ভাইরাসজনিত রোগ চিকিৎসা করেন এমন চিকিৎসকদের জন্য পিপিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিপিই- বলতে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামকে বোঝায়। শুধু চিকিৎসকদের জন্যই নয়, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো জায়গায় কাজ করেন, যেখানে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা আছে, তাহলে তার জন্য পিপিই আবশ্যক। সাধারণত পিপিই একবার ব্যবহার করে ধ্বংস করে দেয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, কারণ একবার ব্যবহার করলে পিপিই’তে জীবানু বা ভাইরাস লেগে থাকতে পারে, যা ঝুকিপূর্ন। সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের ব্যবহারের জন্যই অনেক পরিমানে পিপিই দরকার। অথচ সমগ্র বিশ্বেই গুরুত্বপূর্ণ এই অনুসঙ্গের সংকট রয়েছে। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রোধ করতে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত একদল তরুণ “মুক্তি ২০” নামে বডি ডিজইনফেকশন চেম্বার প্রস্তুত করেছে। যে চেম্বারে প্রবেশ করে একজন চিকিৎসক তার ব্যবহৃত পিপিই সহজেই জীবানুমুক্ত করতে পারবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজইনফেকশন ক্যামিকেল তৈরি ফর্মুলা অনুসরণ করেই প্রস্তুত করা হয়েছে মুক্তি ২০।

মুক্তি ২০ সদস্যরা জানিয়েছেন, আমরা একটি দিনের জন্যও আমাদের কাজ থেকে বিরতি নেইনি। দ্রুততার সঙ্গেই আমরা কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু লক ডাউন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাড় করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে আশা করছি আগামী সপ্তাহে মুক্তি ২০ বডি ডিজইনফেকশন চেম্বার সংক্রান্ত একটি সুখবর আপনাদের দিতে পারবো। আমরা এই মুহূর্তে সরকারি হাসপাতালে মুক্তি ২০ স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। তবে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগণ মুক্তি ২০ স্থাপনের জন্য আমাদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছেন। আমরা কথা দিচ্ছি সেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। আমাদের ইনবক্সে যোগাযোগ করলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাড়া দিবো।

বন্ধুরা, শুরুর দিন থেকে আপনাদের যে আন্তরিক ভালোবাসা আমরা পেয়েছি তার জন্য সত্যিই আমরা কৃতজ্ঞ। এছাড়া গণমাধ্যমও যেভাবে একেরপর এক সাড়া দিয়ে যাচ্ছে তাতে সত্যি আমরা আশা করছি সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বহুদূর নিয়ে যাবে। বন্ধুরা, মানবজাতির এই ক্রান্তিকালে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো আর সাহস সঞ্চয় করাই এখন আমাদের একমাত্র কাজ। সুদিন আসবেই।

বাড়িতে থাকি, নিরাপদে থাকি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *