বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

৪৪তম প্রয়ান দিবস স্মরণে : মাও সে তুংয়ের রাজনৈতিক বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিতে হবে – মোস্তফা

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৫ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঢাকা : চীনের মহান নেতা মাও সে তুং যখন চীনের ক্ষমতায় আসেন তখন সমগ্র বিশ্বে চীনের পরিচয় ছিল একটি অনুন্নত ও দারিদ্রপীড়িত দেশ হিসেবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, চীনকে নতুনভাবে মাও সে তুং নির্মাণ করতে শুরু করেছিলেন যার ধারাবাহিকায়ই হচ্ছে আজকের চীন। মাও সে তুংয়ের রাজনৈতিক-সামাজিক বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের রাষ্ট্র নির্মান করতে হবে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘চীনের মহান নেতা মাও সেতুং-এর ৪৪তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আয়োজিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাও সে তুং এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক। তিনি চীনের কৃষিজীবী মানুষকে প্রাধান্য দিয়েই তিনি পার্টির শাসন ব্যবস্থার নীতিনির্ধারণ করেছিলেন। মাওয়ের রাষ্ট্রনীতি চীনকে বদলে দিয়েছে। দেশটির সর্বজনীন আধুনিকায়ন, দ্রুতগতিতে শিল্পায়ন এবং গণশিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

তিনি বলেন, মাও সে তুং ও মওলানা ভাসানী দু’জনেই মহান নেতা ছিলেন। দুজনের মধ্যে অনেক মিল ছিল। আধুনিক চীনের জন্মদাতা মাওকে তারা আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। কিন্তু আমাদের দেশে মওলানা ভাসানীর মত মহান নেতাকে সেভাবে স্মরণ করা হয় না।

ন্যাপ মহাসচিব মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল প্রতীক ছিলেন মন্তব্য করে বলেন, তিনি ক্ষমতা না নেয়ায় এখন বিস্মৃত হয়ে গেছেন।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, জাতীয় জনতা ফোরাত সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, কৃষক নেতা মো. ইব্রাহিম খলিল, শ্রমিক নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।

মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার বলেন, মাও সে তুং চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের নেতা ও প্রাণপুরুষ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন আমৃত্যু। সেদেশে সমাজতন্ত্রের সাম্য প্রতিষ্ঠায় তার অবদান চিরস্মরণীয়।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, মাও সে তুং শুধু বিপ্লবী নেতা নন, তিনি নেতাদের নেতা ছিলেন। তার কারণেই আজকে চীন নিজেদের পায়ের উপর দাঁড়াতে পেরেছে। তবে এজন্য তাদের অনেক লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। মাও সে তুং ছাড়া চীনের ইতিহাস কল্পনাও করা যায় না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *