বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

৫টি অদ্ভুত যেসব পেশা বিলুপ্ত

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৭ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭: পৃথিবী থেকে ইতিমধ্যে অন্তত ৫টি অদ্ভুত পেশা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মানুষ তার জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কত কিছুই না করে করে। কিছু করাটাই মানুষের পেশা। পৃথিবীতে কত করমের পেশা রয়েছে তা বলা মুশকিল। তবে বেঁচে থাকার জন্য কিংবা শুধু ভালো লাগা থেকে মানুষ নানা রকম পেশা বেছে নেয়।

অদ্ভুতুড়ে পেশার আছে যেগুলো পৃথিবীর বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। পেশাগুলো এমনই অদ্ভুত যে বেশিরভাগের কথাই আপনার আগে শোনা হয়নি। আর এখন জানার পর বিস্মিত হবেন এই ভেবে যে, এমন পেশাও তবে ছিল পৃথিবীতে?

ক. ইউরোপে যখন ইঁদুরের উপদ্রব খুবই বেড়ে যেত, তখন ইঁদুর ধরার জন্য লোক নিয়োগ করা হতো। এ লোকদের কাজ ছিল ইঁদুর খুঁজে বের করে সেগুলোকে ধরে ফেলা। যদিও এ লোকগুলোর ইঁদুরের কামড় ও তা থেকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল, তবুও তারা বেশ দক্ষতার সাথেই তাদের দায়িত্ব পালন করতো।

খ. শত্রুসেনার বিমানের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য এখন রাডারসহ আরো কতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়! কিন্তু যখন রাডার ছিল না, কিন্তু যুদ্ধ ও বিমান দুটিই ছিল, তখন কী করা হতো? তখন সেনারা বিশেষ শব্দ নির্ভর যন্ত্র ও আয়না ব্যবহার করে দূর থেকে আসা শত্রুপক্ষের বিমানের ইঞ্জিনের আওয়াজ শুনে সেটার অবস্থান নির্ণয় করতো!
গ. আগে যখন ফ্রিজ ছিল না তখন কি মানুষ বরফ ব্যবহার করতো না? করলে কীভাবে করতো? সেসময় একদল লোক ছিলেন যারা বরফে জমে যাওয়া হ্রদ কেটে বরফ সংগ্রহ করতেন। এ পেশাটি খুবই বিপজ্জনক ছিল। এ বরফই পরে মানুষের ঘরে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হতো!

ঘ. আপনার কি প্রতিদিনই ঘুম থেকে জাগতে দেরি হয়? কেউ জাগিয়ে দিলে ভালো হত? কোনো এক সময় শহরের মানুষকে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়ার জন্য নিয়োজিত থাকতেন কিছু ব্যক্তি। তারা মানুষের বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের বাড়ির জানালা বা দরজায় লাঠি দিয়ে টোকা দিয়ে তাদেরকে জাগিয়ে দিতেন!

ঙ. বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের বৈদ্যুতিক বাতি উদ্ভাবনের আগ পর্যন্ত রাস্তার ল্যাম্প পোস্টগুলোতে ব্যবহার করা হতো তেলের বাতি। আর এ বাতিগুলো ঠিক সময়ে জ্বালানো-নেভানো কিংবা তেল দিয়ে পূর্ণ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এ ছবির মতোই কিছু কর্মীকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *