শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
সিরাজুল ইসলাম রতন, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বুধবার গভীর রাতে জেমি বেগম ঠাঁই না পাওয়ায় শহরের ডিবি রোডে ওয়ালটন শোরুমের সামনে অটোরিক্সার মধ্যে সন্তান প্রসব করেছে নামে এক প্রসূতি। পরে তাকে ওখানে একটি পরিত্যক্ত ঘরে ঠাঁই দেয়া হয়। এসময় ৯৯৯ নম্বরে জরুরী ফোন কল পেয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ অসুস্থ অবস্থায় প্রসূতি মা ও নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
জেমি বেগমের স্বজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার গৃহবধু জেমি বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে সিনরএনজি যোগে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় কেন্দ্রের পরিদর্শিকা সেলিনা আক্তার প্রসুতিকে ভর্তি না করিয়ে তাদের অন্যত্র যেতে বলে। নিরুপায় প্রসূতির স্বজনরা কাকুতি মিনতি করতে থাকলে কেন্দ্রে থাকা পরিদর্শিকাসহ স্বাস্থ্য কর্মী ও আয়ারা প্রসূতিসহ তার স্বজনদের কথায় কোন কর্ণপাত করেনি বা প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়নি।
পরে প্রসূতি জেমি বেগমের প্রসব বেদনা তীব্র আকার ধারণ করলে জেলা শহরের ডিবি রোডের পরিত্যক্ত একটি ঘরে মেয়ে সন্তান প্রসব করে ঐ প্রসূতি মা। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগীতায় অসুস্থ্য অবস্থায় মা ও শিশুকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভতি হয়।
এব্যাপারে মাতৃসদনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার আফসারী খানম বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র সবার জন্য উন্মুক্ত। সবার সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। রাতের যে ঘটনাটি ঘটেছে তা হলো রোগীকে রেফার্ড করা হয়। সেই রোগী হাসপাতালে যাওয়ার পথে সন্তান প্রসব করে। এতে যদি কর্তব্য অবহেলার কোন বিষয় থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে তারা গভীর রাতে প্রসুতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তার যাবতীয় সেবার ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, প্রসূতি মা ও নবজাতক শিশুকে দেরী করে হাসপাতালে নিয়ে এলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও শিশুটির যথাযথ পরিচর্যার অভাবে মা ও নবজাতকের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। বর্তমানে প্রসূতি মা জেমি বেগম ও তার নবজাতক কন্যা সন্তান গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।