নরসিংদী,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭: নরসিংদী আজ ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে সমগ্র নরসিংদী পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসে এ দিনটি নরসিংদীবাসীর কাছে অত্যন্ত গৌরবোজ্জল ও স্মরণীয় দিন। ৭১’সালে দীর্ঘ ৯ মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ওই খন্ড যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন ১১৬ জন বীর সন্তান। এর মধ্যে নরসিংদী সদরের ২৭, মনোহরদীর ১২, পলাশে ১১, শিবপুরের ১৩, রায়পুরায় ৩৭ ও বেলাব উপজেলার ১৬ জন। এছাড়া বহু মা-বোনের নিরব আত্মত্যাগের বিনিময়ে নরসিংদী হানাদার মুক্ত হয়।
নরসিংদীতে তত্কালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) সামসুল হুদা বাচ্চুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঁশের লাঠি নিয়ে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এসময় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু (বর্তমানে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী), মোঃ আলী আকবর, খন্দকার গোলজার হোসেন, মানিক লাল সাহা, আব্দুল মতিন ভূঞা, হারাধন সাহা, সুভাষ সাহা, নিবারণ রায়, হাসান মাহমুদ, খালেকুজ্জামান, হাবিবুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বাহার, আবদুল আলী মৃধা, আতাউর রহমান মাস্টার, আজিজ আহমেদ খান, ফজলুল কাদের সওদাগর, আপেল মাহমুদ, রতন সরকার, আব্দুস সাত্তার, গণেশ আচার্য (জগদীশ), ক্ষিতিশ ঘোষ, মেজবাহ উদ্দিন ইরান, ইফতেখার উদ্দিন ভুলু, নারায়ণ ঘোষ, মুনসুর আহমেদ, মজিবুর রহমান, জসীম উদ্দিন, আবুল কাসেম, হারুন অর রশিদ, সুনীল দাস, সচিন্দ্র দাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, আমিরুল ইসলাম ভুঁইয়া, মাহমুদ, রাজু প্রমুখ প্রতিরোধ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।