নিজস্ব প্রতিবেদক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসায়ী দাবি করে আলোচিত-সমালোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, ‘আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ছিলাম। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলাম। সেই সদস্য হিসেবে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। নির্বাচনের পর থেকে আমি আমাদের ফোরাম এবং গণমাধ্যমে বলেছি- আমি অসুস্থ ছিলাম। আমি যাবো। সেই ধারাবাহিকতায় যা বলেছিলাম তা করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী, ৩০ ডিসেম্বর পর যা বলেছি তাই করেছি।’
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং দল গণফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেওয়ার কারণে কোনও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলে কী করবেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘সব কথার উত্তর দেব না এ কারণে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সেসব সিদ্ধান্তের সময় আমি ছিলাম, আমিও ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার নলেজেই আমি এটা করেছি। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেবেন আমি আমার ভূমিকা পালন করবো। দল হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকুন। আর আমার ভূমিকার অপেক্ষায় থাকেন।’
ধানের শীষ প্রতীক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই সরকারি দলের প্রতিনিধিত্ব করছি না। ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছি। ধানের শীষ এক সময় ছিল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাপের মার্কা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা পর এই মার্কা হয়েছে বিএনপির। বর্তমানে এই মার্কা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মার্কা। কাজেই আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারক হিসেবে আমি ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করেছি।’
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট্রের মধ্যে বিএনপি বড় দল স্বীকার করতেই হবে। তাদের নেতাকর্মীরা কাজ করেছে। তাছাড়া সব দলের লোকজন আমার নির্বাচনে কাজ করেছে। এই আসনে কখনও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হয়নি। সংসদে আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবো। যেহেতু নির্বাচন করতে হলে ইসির নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধিত দলের সদস্য হয়ে নির্বাচন করতে হয়, সেজন্য গণফোরামের তালিকায় তাদের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে আমাকে নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছিল। সেজন্য আমি অবশ্যই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’