বিনোদন ডেস্ক বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ ২০১৮:
বি-টাউনে সবচেয়ে আবেদনময়ী নায়িকা কে? একবাক্যে বিপাশা বসুর নাম বলে দিলেও খুব বেশি বিতর্কের কিছু থাকবে না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ভক্তদের মনে আবেদন ছড়িয়ে চলেছেন বিপাশা। শোনা যায়, তার জন্য নাকি বহু পুরুষের রাতের ঘুম এখনও হারাম হয়।
সম্প্রতি এই নায়িকাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। সাহসী বিপাশা উত্তরও দিয়েছেন লাজলজ্জা ভেঙেই। অকপটে বলেছেন সব। জানিয়েছেন ১৪ বছর ধরে সেক্স সিম্বল-এর ট্যাগ বহন করতে কেমন লাগে? একা বলিউডে এসে নিজের জমি তৈরি করতে কী কী হারাতে হয়েছে তা-ও বলেছেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- যেদিন থেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন, সেদিন থেকে আপনার নামের পাশে ‘সেক্সি’ বলে একটা ট্যাগ পড়ে গিয়েছে। প্রতিটা ছবিতেই ওই ‘সেক্সি’ ট্যাগটা আপনার সঙ্গেই থেকেছ। প্রত্যেকে পরিচালক এটা ব্যবহার করেছেন। এটা কি আপনাকে বিরক্ত করে?
বিপাশা বলেন, আমার তো নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে কোনও সেক্স অ্যাপিল না থাকা সত্ত্বেও সবাই আমাকে ‘সেক্সি’ বলে ভাবেন। আমি যে চরিত্রে অভিনয় করি, সেদিকে মন দিই। কাজে মননিবেশ করি। তারপরেও যদি আপনাদের আমাকে সেক্সি মনে হয়, তাহলে আমি সেক্সি। আমি এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছি, যেগুলো মোটেই গ্ল্যামারাশ নয়। কিন্তু আমি সত্যিই অনেক সেক্সি।
তিনি বলেন, ‘আক্রোশ’-এও আমি গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। অনেকে বলেছিলেন, আমাকে ‘সেক্সি হাউজওয়াইফ’ দেখাচ্ছে। যেহেতু সবাই আমাকে ওই বিশেষ ট্যাগটা সব সময়ই দিয়ে থাকেন, তাই সেটা নিয়ে সন্দেহ রাখি না। সত্যি বলতে, ওই ট্যাগটা নিয়ে আমি খুশি। বহু বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। আর আমার ক্যারিয়ার ওই ট্যাগটাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।
আরেক প্রশ্নে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- একটা মেয়ে, যার কোনও খুঁটি ধরা নেই, সে যখন যৌন আবেদন নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, কেউ কেউ কি তার ফায়দা তুলতে চায় না? বলিউডের মতো প্রায় পুরুষ-চালিত একটা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজটা কঠিন নয় কি?
এমন প্রশ্নে মোটেই বিচলিত বিব্রত নন বিপাশা। বলেন, ‘এখানে সারভাইভ করা খুব কঠিন নয়। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যখন ‘ওদের’ সুযোগ দেবেন, তখনই ওরা তার ফায়দা তুলবে। হঠকারিতা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নীতিতে দৃঢ় থাকতে হবে এবং নিজের প্রতি সম্মান যেন না হারায়।
নায়িকার ভাষ্য, ১৬ বছর বয়সেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম, ‘হ্যাঁ’ বলাটা সহজ, কিন্ত্ত ‘না’ বলাটা কঠিন। দৃঢ় একটা ‘না’ বলা উচিত, যাতে আপনি সম্মত নন। এই দর্শন থাকলে, জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রত্যেকের জার্নিটা নিজস্ব। কাজ আর সম্মানের মধ্যে আমি সব সময়ই সম্মানটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। কাজ হারাতে রাজি আছি, নিজের প্রতি সম্মান হারাতে নই। আমি নিজেকে সম্মান করি, আপনাকেও। আপনি তার ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করুন, আপনি আমার থেকে পাওয়া সম্মান হারাবেন, আমাকেও হারাবেন।