সিলেট সংবাদদাতা-বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র অপসারণের দাবিতে সংক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজন ঝাড়ু এবং জুতা মিছিল করেছেন।’
রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরে ওই মিছিলটি বের করা হয়।’
বেলায়েত হোসেন নামের এক অটো রাইছ মিল মালিককে শনিবার (০৩ নভেম্বর) রাতে শারীরিক ভাবে ইউএনও কতৃক লাঞ্চিত করার জের ধরে ব্যবসায়ী এবং এলাকার স্থানীয় লোকজন সংক্ষুদ্ধ হয়ে রবিবার উপজেলা সদরেই তার অপসারণের দাবিতে ওই মিছিলটি বের করা হয়। ’
প্রত্যক্ষদর্শী ও লাঞ্চিতের শিকার ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব তার নিজ বাসার পাশে ব্যাট খেলার মাঠে ডেকে নেন সদরের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনকে।’ এরপর অটো রাইছ মিলের পাশে বালু রাখার কাজে বাধা দেয়া হয়েছে কী না জানতে চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েতকে চর থাপ্পর মারতে থাকেন।’
এদিকে ব্যবসায়ী বেলায়েতকে চর থাপ্পর মেরে লাঞ্চিত করার খবর জানাজানি হলে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন সংক্ষুদ্ধ হয়ে রবিবার দুপুরে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে ঝাড়– ও জুতা মিছিল বের করে সদর বাজার এবং উপজেলা সদরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সংক্ষুদ্ধ লোকজনের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর, উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলী মর্তুজা ও শারীরিক লাঞ্চনার শিকার ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।’
ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন জানান, ইউএনও স্যার আমাকে অন্য লোক দিয়ে ডেকে নিয়ে প্রথমে জানতে চেয়েছেন কোন দিকের মিলটি আমার, এরপর তিনি জানতে চান আমি বালু রাখার কাজে বাধা দিয়েছি কীনা, আমি বাধা দেইনি বলার সাথে সাথেই তিনি আমাকে উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী জনপ্রতিনিধি ও লোকজনের সামনে এলোপাতারী চর থাপ্পর মারতে থাকেন।’ তিনি আরো বলেন, আমি ২০ বছর ধরে ব্যবসা করি কারো সাথে কোন দিন খারাপ আচরণ করিনি কিন্তু আমারতো পরিবার পরিজন আছে, আমার আর মান সম্মান রইওেলা কই?।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে রবিবার বিকেলে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব’র সরকারি মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় উনার কোন বক্তব্য নেয়া যায়নি।’
পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব
দুল আহাদের নিকট এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি রবিবার বিকেল বলেন, তাহিরপুরের ইউএনও’র ব্যাপারে এরকম একটা অভিযোগ শুনেছিলাম, পরে তাকে (ইউএনও) জিজ্ঞাসা করলে আমাকে জানায় এরকম একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো তা নাকী সমাধান হয়ে গেছে।