বর্তমানকন্ঠ ডট কম, চট্রগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিগত ৫ বছরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মাণ করেছে অসংখ্য রাস্তা ও ব্রীজ। যা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে আরো উন্নত ও আধুনিক। এর ফলে বর্তমানে নগরীতে যাতায়ত ব্যবস্থায় এসেছে সাচ্ছন্দ ও আরামদায়ক অনুভুতি। এখন আর মানুষকে ভাঙ্গা ব্রীজের উপর যাতায়ত করতে হচ্ছে না। এসবই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায়। তিনি চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন। এরই প্রতিফলন চট্টগ্রামে অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
তিনি বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা, তা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কিছু মেগা প্রকল্প সংযুক্ত হয়েছে। এগুলো বাস্তাবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসাসহ যে সরকারি স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তার পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন। নগর উন্নয়নে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেভাবে যা কিছু দরকার তা করতে আমি উদ্যোগী হয়েছি। আমি আশা করি এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা থাকবে। তিনি আজ ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ সৈয়দ শাহ রোড বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বীর্জা খাল ও খালপাড় রসুলবাগ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন চাক্তাই ডাইভারশান খালের উপর ২ টি ব্রীজের নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন । তিনি আরো বলেন, এই ব্রীজ দুটি নির্মাণের ফলে অত্র এলাকার অধিবাসীদের যাতায়ত আরো সুবিধা হবে। ফিরে পাবে কর্মচাঞ্চল্য। সুযোগ সৃষ্টি হবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোকজন নাগরিক দায়িত্ব পালন করলে হবে না, একজন সচেতন নাগরিক ও এলাকাসী হিসেবে আপনারাও কিছু নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব পালন করতে পারলে অনেক সমস্যা থেকেই মুক্ত থাকা যায়। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, ইদাংনিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমারা অসেচতন ভাবে খালের উপর নিত্য ব্যবহার্য্য আবর্জনা নিক্ষেপ করে খালের পানি নিষ্কাষনে বাধা সৃস্টি করছে। অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই এহেন কাজ থেকে বিরত থেকে পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি নিষ্কাশনে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারি। মেয়র এলাকাবাসীকে খালে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দ্দিষ্ট স্থানে অথবা ডোর টু ডোর ময়লা আবর্জনা সংগ্রহকারীদের ভ্যানে ময়লা তুলে দেয়ার আহবান জানান। উল্লেখ্য ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ব্যায়ে এই ব্রীজ দুটি নির্মাণ কাজ আগামী মে মাসে শেষ করার কথা রয়েছে। ডাইভারশন খালের উপর ব্রীজ ১১.৫০ মিটার ও সৈয়দশাহ রোড বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বীর্জা খালের উপর ব্রীজটি ১২ মিটার বিশিষ্ঠ।
উদ্বোধনকালে কাউন্সিরর এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রিফাত উল করিম, উপ সহকারী প্রকৌশলী শওকত আলী, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাশেম কন্সট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী এ.এম তৌহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, এস এম মামনুর রশিদ, মাসুদ করিম টিটু, মো. মোখতার হোসেন লিটন উপস্থিত ছিলেন।