ডেস্ক রিপোর্ট:
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ১০টির বেশি দেশ। সেই সব দেশের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করেছে বিশ্বের প্রায় সকল দেশ।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রভাব পড়েছে বিশ্বেও। শুধু চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দিল্লি, নেপালসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীদের ভ্রমণ কমে গেছে। কমেছে ভরা মৌসুমে পর্যটকদের আসাও। অনেক বিদেশি পর্যটক যাত্রা বাতিল করায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্যুর অপারেটর ও অভিজাত হোটেলগুলো।
লোকসানের মুখে এসব রুটে ফ্লাইট কমিয়ে দিচ্ছে বিমানসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স। চীন ছাড়িয়ে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করেছে বিশ্বের ৭০টি এয়ারলাইন্স। আরও ৫০টি এয়ারলাইন্স কমিয়েছে ফ্লাইট।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত না হলেও জাপান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যাত্রী অর্ধেকে নেমে আসায় এশিয়ার বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট কমাচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ থেকে চীনে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে চায়না সাউদার্ন। দেশটিতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনাকারী আরো তিনটি এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, কাঠমান্ডু, ব্যাংকক ও কুয়ালালামপুরে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে যাওয়ায় আমরা ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়েছি।
করোনার ভয়ে অনেক বিদেশি পর্যটক ও বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ভ্রমণ বাতিল করায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্যুর অপারেটররা। পর্যটনের ভরা মৌসুমে ফাঁকা থাকছে অভিজাত হোটেলগুলো।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশে বুকিং করাই ছিল এমন ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যটক আসেনি। এছাড়া ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিংও হ্রাস পেয়েছে। ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হবে।
গত ২৮ দিনে চীন থেকে সরাসরি ফ্লাইটে দেশে এসেছেন ৯ হাজারের বেশি যাত্রী। এ সময় চীনে গেছেন ৬ হাজার যাত্রী। বিদেশিদের আস্থা ফেরাতে সংক্রমণ রোধে সরকারি উদ্যোগগুলো ব্যাপকভাবে প্রচারের আহবান বিশ্লেষকের।
এভিয়েশন বিশ্লেষক ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রচার-প্রচারণা আরও জোরদার করা উচিত।