দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪। তবে কারাবন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন।’
তিনি জানান, ‘কারাগারের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকার নবনির্মিত ৫টি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারকে কারাগার-২ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরাতন কারাগার সম্প্রসারণ ও নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে ১১৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে। বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট যুগপৎভাবে চলমান রয়েছে। বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার তিনটি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সকল অফিসে এটা চালু হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘২০১৯ সালে এক লাখ ৭১ হাজার ৭৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক লাখ ৩০ হাজার ৬৮১টি মামলা দায়ের করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন আইনে মাদক ব্যবসার নেপথ্যে ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’