ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি কারাগারে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়েছেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বা বলে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে মাহিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তথ্য ধরেছিলেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মাহিয়া মাহি জমি সংক্রান্ত ঘটনায় পুলিশ বিভাগ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যাপারে ফেসবুক লাইভে মিথ্যা মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রতিপক্ষের ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করার অধিকার রাখেন না।
মোল্যা নজরুল জানান, মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। তার প্রতিপক্ষের লোকজন জমি সংক্রান্ত ঘটনায় অইন-শৃঙ্খলা অবনতি সংক্রান্ত আরেকটি মামলা করেছে। মাহিয়া মাহিকে শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, গত শুক্রবার রাতে মাহিয়া মাহির প্রতিপক্ষের দেয়া মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ (৩৮), আশিকুর রহমান (৩২), ফাহিম হোসেন হৃদয় (২২), জুয়েল রহমান (২৫), জমশের আলী (৪৪), মোস্তাক আহমেদ (২২), খালিদ সাইফুল্লাহ জুলহাস (৩০), সুজন মন্ডল (৩৪) ও মাহবুব হাসান সাব্বিরকে (১৮) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।