স্পোর্টস ডেস্ক । বর্তমানকণ্ঠ ডকম:
৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সিলেট সিক্সার্স। এ পরিস্থিতে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান ও অলোক কাপালি। তাদের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে দলটি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ১২৮ রানের টার্গেট দিয়েছে ওয়ার্নার বাহিনী।
রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং নেন কুমিল্লা অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ফলে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট। তবে শুরুটা শুভ হয়নি তাদের। প্রথমেই বিপদে পড়েন তারা। মেহেদি হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন লিটন কুমার দাস।
প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। ফেরার আগে ১৪ রান করেন সিলেট অধিনায়ক। এরপর খেলা ধরার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। তবে ক্রিজে স্থির ছিলেন না। এর খেসারত গুনে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত খাতায় তোলেন ১৯ রান।
খানিক বাদেই হৃদয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শহীদ আফ্রিদি ফেরালে চাপে পড়ে ‘চায়ের দেশের’ দলটি। এ পরিস্থিতিতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয় মাস নিষিদ্ধ সাব্বির রহমান। দলীয় ৫৬ রানে মেহেদী হাসানের স্পিনে নীল হয়ে ফেরেন তিনি।
বিপর্যয়ে দলের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান ও অলোক কাপালি। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটে সিলেট। হু হু করে বাড়ে রান। দারুণ খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎই খেই হারান পুরান। মোহাম্মদ শহীদের বলে আবু হায়দার রনির তালুবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ২৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন পুরান।
কয়েক মিনিট পর শহীদের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তাসকিন আহমেদ। সেই রেশ না কাটতেই ফেরেন অলোক কাপালি। ফেরার আগে গুরুত্বপূর্ণ ১৯ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৭ রান করে সিলেট। ভিক্টোরিয়ানসদের হয়ে মেহেদী, সাইফ, শহীদ ২টি করে এবং আফ্রিদি নেন ১টি উইকেট।