সিরাজুল ইসলাম রতন, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, গাইবান্ধা : করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় গাইবান্ধাকে লক ডাউন ঘোষণার পরদিন শনিবার যথারীতি পালিত হলেও রোববার সকাল থেকেই জেলা উপজেলা সদরের হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লার সর্বত্র ঢিলেঢালা ভাব পরিলক্ষিত হয়। জেলা উপজেলা সদরের রাস্তা গুলোতে অটোবাইক, অটোরিক্সা, মিনি ট্রাক, মটর সাইকেল, বাই-সাইকেলসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ও পথচারিদের যথেষ্ট ভীড় পরিলক্ষিত হয়। এদিকে শহর এবং উপজেলা শহরের হাট-বাজারগুলোতে ভীড় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া জেলা শহরের পাড়া-মহল্লা, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এবং শহরতলি এলাকার ভেড়া রেলওয়ে ব্রীজের মোল্লার বাজার থেকে ৭৫নং রেল গেট পর্যন্ত কাজি বাড়ির সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়।
প্রতিটি শহরে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে, চলে যাওয়ার পরেই আবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিস্থিতি আগের মতই হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজনরা এব্যাপারে মন্তব্য করেন পুলিশের একার পক্ষে লক ডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেজন্য জনসচেতনতা একান্ত অপরিহার্য।
এব্যাপারে পৌরসভা, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বার বার মাইকিং করা সত্ত্বেও তাতেও কোন কাজে আসছে না।
এদিকে লক ডাউন ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা শহর সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বাঁশের কঞ্চি, গাছের গুড়ি ফেলে রেখে এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে স্হানীয় অতি উৎসাহী লোকজন বেরিকেড দেয়। অনেকে এই সমস্ত বেরিকেডে বহিরাগতদের চলাচল নিষিদ্ধ লিখে, হাতে লেখা পোস্টার ঝুঁলিয়ে রেখেছে। ফলে জেলা শহরসহ ও পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়া বেরিকেডের কারণে অন্যান্য সড়কগুলোতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল এমনকি বহিরাগত অন্যান্য এলাকার লোকজনেরও চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই সমস্ত বেরিকেডের ফাঁক দিয়ে ওইসব মহল্লা ও পাড়ার লোকজন কষ্ট করে এবং হেটে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।
তদুপরি লকডাউনের নামে নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও পাড়ায় মহল্লায় এধরণের বেড়িকেট সংশ্লিষ্ট পাড়া বা মহল্লাায় বসবাসকারি সর্ব শ্রেণির মানুষের স্বাভাবিক চলাচলকে যেমন বাঁধাগ্রস্থ করছে। তেমনি অতি জরুরী প্রয়োজনে বেরিকেড দেয়া এলাকায় ফায়ার বিগ্রেড ও রোগী পরিবহনে এ্যাম্বুলেন্স, প্রতিবন্ধীদের বাই-সাইকেল সহ যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।