২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গাজীপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।
১৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্যে জোড়া খুনের বিচারসহ ১১দফা দাবি তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডাঃ মাহবুব আলম মাহফুজ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় “২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটিয়ে একদল ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণী ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে। এসময় সন্ত্রাসী প্রকৃতির শতশত মানুষ জড় হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে দেয়। হত্যাকান্ডের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের এখনো বিচার হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
ধর্মব্যবসায়ী একটি শ্রেণী কেনো বারবার হেযুবত তওহীদের উপর হালমা চালাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে হেযবুত তওহীদের নেতারা বলেন, এখানে আদর্শীক ও স্বার্থের দ্বন্দ দুটোই কাজ করছে। এক শ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করেন যে তারা ইসলামের একমাত্র কর্তৃপক্ষ এবং মাদ্রাসারার শিক্ষিত না হলে ইসলামের কথা বলা যাবে না। হেযবুত তওহীদ তাদের এই দাবির বিরোধিতা করে। সংবাদ সম্মেলনে অতি দ্রুত হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার কার্যকরসহ সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক, শিল্পভিত্তিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি সাজাহান প্রধান, গাজীপুর জেলা রির্পোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ ফরিদ সহ অন্যন্যরা।