এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করণে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সন্দেহভাজন রোগীদের করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া কেউ স্বেচ্ছায় চাইলেও টেস্টের জন্য নমুনা প্রদান করতে পারবে। সংগৃহীত নমুনা বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা/চট্টগ্রামে আইইডিসিআর’র নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এরপর জানা যাবে রির্পোর্ট। জেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হলে সন্দেহভাজন রোগীর টেস্ট করা ও ফলাফল জানা অনেক সহজতর হবে বলে আশা করা যায়। করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’দফা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার ও টেকনোলজিস্টদের।
গত শনি ও সোমবার এসব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এ জন্য ফোকালপার্সন (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক) মনোনীত করা হয়েছে হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেলকে। তিনি’ই সিদ্ধান্ত দিবেন কোন লোকের করোনা টেস্ট করা প্রয়োজন। এই স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য মনোনীত সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, টেকনোলজিস্ট ও নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) ও প্রতিরক্ষামূলক সামগ্রী ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন শুধু নমুনা সংগ্রহ ও পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আসার অপেক্ষা। এসব চলে আসলেই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে শুরু হবে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ। তখন আর কাউকে এই টেস্টের জন্য জাতীয় হটলাইনে ফোন করতে হবে না, ঢাকা/চট্টগ্রাম যেতে হবে না কিংবা ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে আইইডিসিআর’র নমুনা সংগ্রহকারী টিম আসতে হবে না।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ও করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, চাঁদপুর সদর হাসপাতালে করোনা টেস্টের নমুনা (সেম্পল) সংগ্রহের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন মিডিয়া আসার অপেক্ষায় আমরা। মিডিয়া আসলে এবং যুক্তিসঙ্গত সন্দেহভাজন রোগী পেলে আমাদের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তিনি আশা করছেন, ১/২ দিনের মধ্যে যে কোনো সময় সদর হাসপাতালে মিডিয়া চলে আসবে। এই ফোকালপার্সন আরো জানান, করোনা টেস্ট করতে হলে কিংবা কেউ নিজেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করলে প্রথমেই ফোকালপার্সনের মোবাইল নম্বরে (০১৭১১৩৫৫৯৮৮) ফোন করতে হবে।
ফোকালপার্সন মোবাইল ফোনে রোগীর বিস্তারিত জেনে সিদ্ধান্ত নিবেন রোগীর নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন আছে কিনা। প্রয়োজন হলে রোগী নিজে সতর্কতার সাথে হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে যেতে পারবেন। আবার রোগী চাইলে তার বাসা-বাড়িতে হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেও নিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে সন্দেহভাজন ব্যক্তির সুবিধাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ডা. রুবেল আশা করছেন, চাঁদপুরে নমুনা সংগ্রহ শুরু হলে জেলাবাসীর জন্য করোনা টেস্ট অনেক সহজতর হবে। তবে লোকজন যাতে অহেতুক এই টেস্ট করার আগ্রহ না দেখায় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে, যাদের জ্বর, সর্দি ও কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট থাকবে তাদেরকেই করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এখন জ্বর, সর্দির মৌসুম উল্লেখ করে জ্বর কিংবা সর্দি হলেই লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।