মজুদদারদের কারসাজির কারণে ফিলিপাইনে তরতর করে বাড়ছিল চালের দাম। এর ফলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস শুক্রবার চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
মার্কোসের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী সাধারণ মানের চাল বিক্রি হবে সর্বোচ্চ ৪১ পেসোতে (প্রায় আশি টাকা)। আর ভালো মানের চালের সর্বোচ্চ দাম হবে সর্বোচ্চ ৪৫ পেসোতে (প্রায় ৮৭ টাকা)।
ভাত ১১ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য। তবে দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় ধানের উৎপাদন কম। তাই বিদেশ থেকে যথেষ্ট চাল আমদানি করতে হয়।
মার্কোস বলেছেন, চালের এই দাম বৃদ্ধি ফিলিপাইনের মানুষের ওপর বিশেষ করে যারা সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক তাদের ওপর যথেষ্ট বাজে প্রভাব ফেলেছে।
তার মতে, চালের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে থাকার পর অবৈধভাবে কারসাজি করে কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও ভারত চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায়, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও তার দেশের বাজারে পড়ছে বলে মনে করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট।