ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক হতে নওপাড়া ইউনিয়নগামী যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সড়ক মেরামতের কাজ দীর্ঘদিন পূর্বে শুরু হলেও অদ্যবধি শেষ হওয়ায় এই সমস্যা।
সড়কের দুপাশে গভীর গর্ত করে বেড তৈরি করা হয়েছিল; চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি জমে সেখানে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়। অবশিষ্ট সড়কের সরু অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে । একটি গাড়ী সাইড দিতে অন্য একটি গাড়ীকে সড়কের পাশে বিপদজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
ফলে ৮ কি.মি. সড়কটিতে যানজট সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সড়ক নির্মান বা মেরামত কাজের প্রজ্ঞাপনে সড়কের এক অংশ খোলা রেখে কাজ করার কথা থাকলেও এখানে তা দৃশ্যমান হয়নি। সড়কের দুপাশে বেড তৈরীর জন্য গভীর গর্তের সৃষ্টি করে রাখায় এলাকার জনগণ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় ইউনানী চিকিৎসক সামাদ খাঁন বলেন, অপরিকল্পিত কাজের জন্য সড়কে জায়গা না থাকায় গতকাল আমার গাড়ীটিকে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
সড়ক নির্মানে অনিয়মের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারেই একসাথে রাস্তার দুপাশে বেড কাটা হয়েছে; এতে ছোট ছোট দুর্ঘটনা ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও কোন সমস্যা নাই।
সড়কের মান উন্নত করতেই তাদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মর্মে প্রকাশ করলেও তিনি তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামপ্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
সড়ক নির্মান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইড ম্যানেজার মন্টু মৃধা বলেন, রাস্তার দুপাশে একই সাথে বেড কাটায় জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তিনিও স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সড়কের একপাশ উন্মুক্ত রেখে কাজ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে একই সাথে দুইপাশে বেড খনন করে কাজ করা হচ্ছে।
সড়ক নির্মানে এমন কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে মধুখালী উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন বর্ষা মৌসুম দ্রুত কাজ শেষ করার স্বার্থে এক থেকে দেড়শ ফুট জায়গা একসাথে খনন করার নির্দেশনা আছে, এর বেশি কিছু নয়।
এদিকে এলাকাবাসী যথাযথ নিয়মে দ্রুত সড়ক নির্মানের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।