রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

ডিআইজি মিজানের তদন্ত ‘গতিহীন’

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৯ পাঠক
মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৮: জোরপূর্বক তরুণীকে তুলে নিয়ে বিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করা ঢাকা মেট্রোপলিটনের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন- তদন্ত চলছে…, তদন্ত শেষ হলে অপরাধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাইনুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এ তদন্ত কমিটির নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত চলছে। আগে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হতে হবে। তদন্ত শুরু হলেই যে তিনি দোষী হয়ে যান, বিষয়টি তেমন নয়। তদন্তের পর বোঝা যাবে তিনি কতটুকু অপরাধী? অপরাধ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি মাইনুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তাও দুই সপ্তাহ হতে চললো। এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই।

পুলিশের উর্দ্ধতন একটি সূত্র জানিয়েছে, দালিলিক প্রমাণ থাকায় তদন্তে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে। তাকে দোষী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আওয়ায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, মরিয়ম আক্তার ইকো নামের এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা সম্প্রতি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন গত জুলাই মাসে বাসা থেকে তাকে কৌশলে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডে তার বাসায় নিয়ে তিন দিন আটকে রাখা হয়েছিল ওই নারীকে।

আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মাকে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় ডিআইজি মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে ওই নারীর সঙ্গে বসবাস করেন ডিআইজি মিজান।

কিন্তু নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি আপলোড করার পর ওই নারীর ওপর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি মামলায় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। দুই মামলাতেই জামিনের পর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন ওই নারী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই পাতার আওর সংবাদ